প্রধান মেনু

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রথম জাতীয় কনভেনশন-২০১৭ সমাপ্ত

টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সমন্বিতভাবে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করে শেষ হলো দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রথম জাতীয় কনভেনশন-২০১৭। এতে স্থানীয় পরিস্থিতি ও আবহাওয়া বিবেচনা করে উন্নয়ন কর্মকা- নির্ধারণ করার সুপারিশ করেন দেশের বিভিন্ন দুর্যোগপ্রবণ এলাকা থেকে আগত জনপ্রতিনিধি, ভুক্তভোগী, কর্মকর্তা ও এনজিও প্রতিনিধিরা।
আজ রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রথম জাতীয় কনভেনশন-২০১৭ এর সমাপনী অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। দুর্যোগপ্রবণ ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, হাওর ও পাহাড়ি এলাকা থেকে আগত দেড় হাজারের অধিক প্রতিনিধি কনভেনশনে অংশগ্রহণ করেন।
হাওরের উন্নয়ন প্রসঙ্গে নদীর পানি নিষ্কাশনের সমস্যা দূরীকরণ, অপরিকল্পিত স্লুইচগেট অপসারণ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাজের স্বচ্ছতা আনয়ন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাজের সাথে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্তকরণ, সরকারের সকল উন্নয়ন বরাদ্দ শুকনো মৌসুমের পূর্বেই ছাড়করণ ইত্যাদির উপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
ঘূর্ণিঝড় প্রসঙ্গে উপকূলীয় বেড়িবাঁধ উঁচুকরণ, আরো ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ, দুর্যোগকালে সমুদ্রে জেলেদের সাথে যোগাযোগের উন্নত মাধ্যম ব্যবহার, কমিউনিটি রেডিও চালুকরণ, সচেতনতা অনুষ্ঠান জোরদারকরণ, ইউনিয়ন পরিষদের সাথে উপকূলীয় স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী সিপিপির সম্পর্ক নিবিড়করণ ও উপজেলা পর্যায়ে সিপিপির কার্যালয় স্থাপনের উপর গুরুত্বারোপ করেন বক্তারা।
বন্যা মোকাবিলা প্রসঙ্গে বলা হয়, বন্যা থেকে রক্ষার জন্য নির্মিত বাঁধ রক্ষণাবেক্ষণ জনপ্রতিনিধিদের কাছে হস্তান্তর, আশ্রয়কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানো, বন্যাপ্রবণ এলাকায় মুজিব কিল্লা নির্মাণ, বন্যার পর রাস্তাঘাট দ্রুত নির্মাণ ও পুনর্বাসন সর্বোপরি বন্যা প্রতিরোধে সকলের করণীয় নির্ধারণ করে গাইডলাইন নির্মাণের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এর সচিব মোঃ শাহ্ কামালের সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ধীরেন্দ্র দেবনাথ সম্ভু এবং সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম ও সফিকুল ইসলাম শিমুল বক্তব্য রাখেন।
কর্মশালায় উপস্থাপিত সুপারিশ ও মতামতের আলোকে আগামীদিনের করণীয় নির্ধারণ করা হবে বলে সভাপতি উল্লেখ করেন।