প্রধান মেনু

আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী

প্রধানমন্ত্রীর বাণী :প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৮ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :

“প্রতিবছরের মতো এবারও প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস, ২০১৮ পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষে আমি বিশ্বের সকল অভিবাসী ও তাদের পরিবারবর্গকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। একই সাথে দেশে-বিদেশে অভিবাসীদের কল্যাণে কর্মরত সকল ব্যক্তি, সংস্থা, উন্নয়ন সহযোগী এবং অভিবাসীদের সংগঠনসমূহকে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন।বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের নিরলস প্রচেষ্টার ফলে বাংলাদেশ  জাতিসংঘের উন্নয়ন সূচকে স্বল্পোন্নতদেশ থেকে উন্নয়নশীলদেশে উত্তরণের স্বীকৃতি পেয়েছে। মানব উন্নয়নের সূচকে ২০১৭ থেকে ২০১৮-এ বাংলাদেশ তিনধাপ এগিয়েছে। দেশের এই অভাবনীয় সাফল্যের অংশীদারদের মধ্যে সকল অভিবাসী ভাই-বোন ও তাদের পরিবারের সদস্যদের শ্রম, অবদান ও ত্যাগ অনস্বীকার্য। অভিবাসন প্রক্রিয়াকে নিরাপদ ও স্বচ্ছ করে তুলতে বাংলাদেশ সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে নিরাপদ অভিবাসনকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে। ২০১৮ সালে অভিবাসীদের কল্যাণে নতুন আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। অভিবাসন ব্যবস্থাপনায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনয়নের লক্ষ্যে অভিবাসন বিষয়ক আইনগত কাঠামো সংস্কারের কাজও চলমান রয়েছে। অভিবাসনে আগ্রহীদের আশানুরূপভাবে দক্ষ করে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ চলমান রয়েছে। এ সকল ক্ষেত্রে সম্মিলিত প্রয়াসে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও অগ্রগতি অর্জন হোক এবারের অভিবাসী দিবসের অঙ্গীকার। বাংলাদেশের উদ্যোগে চলতি ডিসেম্বর মাসেই জাতিসংঘে গৃহীত হচ্ছে অভিবাসনক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক দলিল গ্লোবাল কম্পাক্ট ফর সেইফ, অর্ডারলি অ্যান্ড রেসপন্সিবল মাইগ্রেশন। অভিবাসীদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় এই নতুন দিক নির্দেশনা নিরাপদে অভিবাসনে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও প্রতিশ্রুতি বেগবান হবে। আমি আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ২০১৮ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করছি। ’’জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু ,বাংলাদেশ চিরজীবীহোক।”

 রাষ্ট্রপতির বাণী: রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ১৮ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :

“প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস-২০১৮ উদ্ধসঢ়;্ধসঢ়;যাপিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। অভিবাসনের ইতিহাসও মানব সভ্যতার মতো সুপ্রাচীন। প্রাচীনকাল থেকেই জীবিকার সন্ধান, আর্থসামাজিক, জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা কারণে মানুষ পাড়ি জমাচ্ছে দেশ থেকে দেশান্তরে। তাই মানব সভ্যতার বিকাশে অভিবাসনের গুরুত্ব অপরিসীম। গন্তব্য দেশের অবকাঠামো উন্নয়ন, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন ছাড়াও নিজ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অভিবাসীদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের নানা ধর্ম- বর্ণের মানুষের মধ্যে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন সৃষ্টির মাধ্যমে পৃথিবীকে আরো বৈচিত্র্যময় ও বাসযোগ্য করে তোলার ক্ষেত্রেও অভিবাসী জনগোষ্ঠীর ইতিবাচক ভূমিকা রয়েছে। জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় অভিবাসনকে অন্তর্ভুক্ত করার মধ্য দিয়ে সভ্যতার অগ্রগতিতে অভিবাসনের অবদানকে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়েছে। বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক অভিবাসী জনগোষ্ঠী পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে মেধা ও শ্রমের মাধ্যমে তাদের পারিবারিক ও সামাজিক জীবনমান উন্নয়নের পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন। তাদের কষ্টার্জিত আয় আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার ভা-ারকে সমৃদ্ধ করছে। দেশের উন্নয়নে তাদের অবদান আমি কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করছি। যুদ্ধ-বিগ্রহ ও ভূ-রাজনৈতিক নানা কারণে অভিবাসন আজ কঠিন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। অভিবাসীদের অধিকার ও স্বার্থ রক্ষায় বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আইন, কনভেনশন ও সনদসমূহে বর্ণিত বিধানাবলীর যথাযথপ্রতিপালন অত্যন্ত জরুরি। অভিবাসী শ্রমিকরা যেন কোনরূপ, শোষণ, বঞ্চনা ও  হয়রানির শিকার না হয় তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সকলে সচেষ্ট থাকবে- এ প্রত্যাশা করি। আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস-২০১৮ উপলক্ষে আয়োজিত সকল কর্মসূচি সফল হোক-এ কামনা করছি। খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”