আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে স্যানিটেশন ও সুপেয় পানির উৎস স্থাপিত

গত ২৫ আগস্টের পর থেকে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে এ পর্যন্ত ৬ লাখ ২৭ হাজার মিয়ানমার নাগরিক অবস্থান নিয়েছে। এসব নাগরিককে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে সুপেয় পানি ও স্যানিটেশন সেবা প্রদান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। কেন্দ্রগুলোতে সরকারি উদ্যোগে ৩ হাজার নলকূপ ও ৫ হাজার স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা নির্মাণ করা হয়েছে।এগারটি আশ্রয়কেন্দ্রে মহিলাদের জন্য ৪ ইউনিটবিশিষ্ট প্রতি কেন্দ্রে ১০টি করে ১১০টি বা ৪৪০ ইউনিট গোসলখানা নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হয়েছে।
সরকারি উদ্যোগে কুতুপালং-১ ক্যাম্পে ৩ শতটি নলকূপ ও ৬ শত ৯১টি টয়লেট, কুতুপালং-২ ক্যাম্পে ২ শত ৬০টি নলকূপ ও ৭ শত ৩০টি টয়লেট, বালুখালী-১ ক্যাম্পে ২ শত ৩৫টি নলকূপ ও ৫ শত ৮৮টি টয়লেট, বালুখালী-২ ক্যাম্পে ২ শত ৮৯টি নলকূপ ও ৬ শত ৪০টি টয়লেট, ময়নার ঘোনা ক্যাম্পে ৩ শত ৯৭টি নলকূপ ও ৫ শত ২টি টয়লেট, থাইংখালী ক্যাম্পে ৩ শত ৬১টি নলকূপ ও ৪ শত ৯৫টি টয়লেট, হাকিমপাড়া ক্যাম্পে ২ শত ৮৩টি নলকূপ ও ৩ শত ৭৮টি টয়লেট, বাহারছড়া ক্যাম্পে ১৫টি নলকূপ ও ২ শত ১০টি টয়লেট, কেরুনতলী ক্যাম্পে ৫২টি নলকূপ ও ২ শত ১টি টয়লেট, ঊনচিপ্রাং ক্যাম্পে ৩ শত ৩৩টি টয়লেট, লেদা ক্যাম্পে ২ শতটি টয়লেট নির্মাণ করা হয়েছে।
সরকারের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর এ কাজ বাস্তবায়ন করেছে।সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা আশ্রয় শিবিরগুলোতে নলকূপ, টয়লেট ও গোসলখানা নির্মাণ করেছে।বেসরকারি সংস্থাগুলোর মধ্যে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র, ব্র্যাক, শেড, আল মারকাজুল ইসলাম বাংলাদেশ, আহমদিয়া মুসলিম জামাত, জেলা পরিষদ কক্সবাজার, অক্সফাম, একোয়া, বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা, আসিয়াব, এসিএফ, ডিসিএ-কোস্ট, আইওএম, এমএসএফ, প্ল্যান বাংলাদেশ, সলিডারিটিজ ইন্টারন্যাশনাল, ইউএনএইচসিআর,এমওডিএমআর,ইউএনএইচসিআর-এনজিও ফোরাম, ইউনিসেফ-ডিএসকে, ইউনিসেফ-এনজিও ফোরাম, ইউনিসেফ-অক্সফাম, ইউনিসেফ-ভার্ক, ইউনিসেফ- ওয়াটারএইড প্রভৃতি সংস্থাসমূহ ২ হাজার ৩ শত ৬২টি নলকূপ, ১৯ হাজার ২ শত ১২টি টয়লেট, ১ হাজার ২ শত ৯০টি গোসলখানা নির্মাণ করেছে।