রাজশাহী বিভাগে করোনাকালীন সরকারি সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত

ঢাকা, ৩ জ্যৈষ্ঠ (১৭ মে) : রাজশাহী বিভাগে করোনা মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত ও কর্মহীন হয়ে পড়া বিভিন্ন প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে সরকারের বিভিন্ন ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এ বিভাগের বিভিন্ন জেলায় নগদ অর্থ সহায়তা ও ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় গরিব, অসহায়, দুস্থ দিনমজুরসহ হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে এসব ত্রাণ বিতরণ করা হয়।
সিরাজগঞ্জ জেলায় করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় সরকারের মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় এ পর্যন্ত ৩ লাখ ৬ হাজার ৭৮৩ পরিবারকে মানবিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। জিআর (ক্যাশ) খাতে ২ কোটি ৫০ লাখ ২৫ হাজার টাকা ৫০ হাজার ৫ পরিবারের মাঝে এবং ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ১১ কোটি ৪৮ লাখ ৯ হাজার ৮৫০ টাকা ২ লাখ ৫৫ হাজার ১৩৩ পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া গো-খাদ্য ও শিশু খাদ্য হিসেবে ৯ লাখ করে মোট ১৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, যা বিতরণ করা হচ্ছে। এ জেলায় ৩৩৩ নম্বরে কল গ্রহণ করে ২৫০ পরিবারকে ত্রাণ দেয়া হয়েছে।
জয়পুরহাট জেলায় করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় সরকারের মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় এ পর্যন্ত ১ লাখ ১০ হাজার ২৪৭ পরিবারকে মানবিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। জিআর (ক্যাশ) খাতে ১ কোটি ৭০ হাজার টাকা ১৯ হাজার ৩০০ পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে ৩ কোটি ৮৫ লাখ ৬৩ হাজার ৬৫০ টাকা ৮৫ হাজার ৬৯৭ পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া গো-খাদ্য ও শিশু খাদ্য হিসেবে ৫ লাখ করে মোট ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে এবং বিতরণ করা হচ্ছে।
নওগাঁ জেলায় মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় এ পর্যন্ত ৩ লাখ ৮৪ হাজার ৯২৯ পরিবারকে মানবিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৫ হাজার ২৫০ পরিবারের মাঝে ৩০৫ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়েছে। ১ হাজার ৪০০ পরিবারকে নগদ ৯ লাখ ৬৩ হাজার ৫০০ টাকা প্রদান করা হয়েছে। কোভিড ২য় ঢেউয়ের বিশেষ ত্রাণ হিসেবে ৫৭ হাজার ২৫০ পরিবারের মাঝে ২ কোটি ৮৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় ১ লাখ ৮৬ হাজার ৯৫৯ পরিবারের মাঝে ৮ কোটি ৪১ লাখ ৩১ হাজার ৫৫০ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। ১০ টাকা কেজি দরে ১ লাখ ১৮ হাজার ৯২৮ পরিবারের মাঝে ১৭ হাজার ৭৯৫ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া, করোনায় গবাদি পশুকে বাঁচিয়ে রাখতে এ জেলায় ৭ লাখ টাকা গো-খাদ্য এবং ৪ লাখ টাকা শিশু খাদ্য হিসেবে বিতরণ করা হয়েছে।
রাজশাহী জেলায় কোভিড-১৯ মোকাবিলায় এ পর্যন্ত ২ লাখ ১৯ হাজার ৮০০ পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫২ হাজার ৭০৫ পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ ২ কোটি ৬৯ লাখ ২ হাজার ৫০০ টাকা বিতরণ করা হয়েছে । ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় ১ লাখ ৫৫ হাজার ৭৯০ পরিবারের মাঝে ৭ কোটি ১০ লাখ ৫ হাজার ৫০০ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এ জেলায় ৩৩৩ নম্বরে কল গ্রহণ করে ২৯৫ পরিবারকে ত্রাণ দেয়া হয়েছে। এছাড়া, এ জেলায় ৯ লাখ টাকা গো-খাদ্য এবং ৯ লাখ টাকা শিশু খাদ্য হিসেবে বিতরণ করা হয়েছে ।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় কোভিড-১৯ মোকাবিলায় নগদ অর্থ সহায়তা খাতে এ পর্যন্ত ২৬ হাজার হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় ১ লাখ ১৮ হাজার ৯৪ পরিবারের মাঝে ৫ কোটি ৩১ লাখ ৪২ হাজার ৩০০ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এ জেলায় ৩৩৩ নম্বরে কল গ্রহণ করে ২৭ পরিবারকে ত্রাণ দেয়া হয়েছে।
নাটোর জেলায় করোনার মোকাবিলায় সরকার কর্তৃক মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় জিআর (ক্যাশ) নগদ খাতে বিভিন্ন হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ১ কোটি ৫৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা ৩১ হাজার ১৫০ পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। জেলায় ভিজিএফ সহায়তা (নগদ) অর্থ খাতে বরাদ্দকৃত ৫ কোটি ৪৩ লাখ ৭৪ হাজার ৪০০ টাকা ১ লাখ ২০ হাজার ৮৩২ দুস্থ, অসহায় পরিবারের মধ্যে বিতরণ করা হচ্ছে। এ জেলায় ৩৩৩ নম্বরে কল গ্রহণ করে ১১৬ পরিবারকে ত্রাণ দেয়া হয়েছে।
বগুড়া জেলায় জিআর (ক্যাশ) খাতে ২ কোটি ৯৫ লাখ টাকা ৪৮ হাজার ৯০০ পরিবারের মাঝে এবং ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ৯ কোটি ৮৩ লাখ ৩৪ হাজার ৪৫০ টাকার মধ্যে ৫০ লাখ ৮৫ হাজার ৭৫০ টাকা ২ লাখ ১৮ হাজার ৫২১ পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া গো-খাদ্য হিসেবে ১২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, যা অচিরেই বিতরণ হবে। এ জেলায় ৩৩৩ নম্বরে কল গ্রহণ করে ৬৬৪ পরিবারকে ত্রাণ দেয়া হয়েছে।
পাবনা জেলায় করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় সরকারের মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় এ পর্যন্ত ২ লাখ ৩৬ হাজার ৩০৯ পরিবারকে মানবিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। জিআর (ক্যাশ) খাতে ২ কোটি ২০ লাখ ২০ হাজার টাকা ৪৪ হাজার ৪০ পরিবারের মাঝে এবং ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে ৮ কোটি ৫২ লাখ ৩৩ হাজার ৬০০ টাকা ১ লাখ ৮৯ হাজার ৪০৮ পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। এ জেলায় ৩৩৩ নম্বরে কল গ্রহণ করে ৭০৬ পরিবারকে ত্রাণ দেয়া হয়েছে।
রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন জেলার জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিস সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।