প্রধান মেনু

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রীর বাণী  

ঢাকা, ২৪ বৈশাখ (৭ মে) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল  বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন : “বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর ১৬০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আমি তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিশ্বসাহিত্যের এক উজ্জ্বলতম নক্ষত্র। বাংলা ও বাঙালির অহংকার। প্রতিভা ও শ্রমের যুগলবন্দির সম্মিলনে তিনি অসাধারণ সব সাহিত্যকর্ম দিয়ে বাংলাসাহিত্যকে করেছেন ঐশ্বর্যমণ্ডিত। কালজয়ী এ কবি জীবন ও জগৎকে দেখেছেন অত্যন্ত গভীরভাবে, যা তাঁর কবিতা, ছোটগল্প, উপন্যাস, নাটক গীতিনাট্য, প্রবন্ধ, ভ্রমণকাহিনী, সংগীত ও চিত্রকলার সহস্রধারায় উৎসারিত হয়েছে। আবহমান বাংলার রূপ যেমন তাঁর সাহিত্যসৃষ্টিতে ভাস্বর হয়েছে, তেমনই মানবতাবাদী বাণী তাঁর সাহিত্যকে দিয়েছে অতুলনীয় মহিমা।

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। সাহিত্য, সংগীত ও শিল্পের প্রতিটি শাখায় তাঁর অনায়াস বিচরণ সত্যিই বিস্ময়কর। কবির সমস্ত সৃষ্টির মূলে নিহিত মানবতাবাদ তাঁকে বিশিষ্টতা দান করেছে। শান্তি ও মানবতার কবি রবীন্দ্রনাথ ছিলেন প্রকৃতির চিরন্তন সৌন্দর্য ও বৈচিত্র্যের সাধক।

রবীন্দ্রনাথের জাতীয়তাবোধ বাঙালির অনন্ত প্রেরণার উৎস। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে তাঁর কবিতা ও গান মুক্তিকামী বাঙালিকে উদ্দীপ্ত করেছে শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে। জীবনের প্রতিটি সমস্যা-সংকট, আনন্দ-বেদনা এবং আশা-নিরাশার সন্ধিক্ষণে রবীন্দ্রসৃষ্টি আমাদের চেতনাকে আন্দোলিত করে।

কবিগুরু ছিলেন বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের একান্ত আপনজন। শিলাইদহ, শাহজাদপুর ও পতিসরে অবস্থানকালে এ অঞ্চলের মানুষের জীবনমানোন্নয়নে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। গ্রামীণ দরিদ্র মানুষের জন্য তাঁর পল্লীউন্নয়ন প্রচেষ্টা আজও আমাদের কাছে অনুসরণীয় হয়ে আছে। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতি সম্মান জানিয়ে সিরাজগঞ্জে ‘রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠা করেছে আওয়ামী লীগ সরকার।

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির স্বপ্নপূরণের লক্ষ্যে কলোত্তীর্ণ ও কবির সৃষ্টিকে প্রেরণা হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। রবি ঠাকুরের অমর সৃষ্টি ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি’ গানটি বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হিসেবে গ্রহণ করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব।

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনাদর্শ এবং তাঁর সৃষ্টিকর্ম শোষণ-বঞ্চনামুক্ত অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণে চিরদিন বাঙালিকে অনুপ্রাণিত করবে – এ আমার প্রত্যাশা।

আমি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর ১৬০তম জন্মবার্ষিকী’র সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু

বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”