প্রধান মেনু

নারী-শিশু নির্যাতনকারী ও ধর্ষকদের শাস্তি পেতেই হবে — মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ২১ আশ্বিন (৬ অক্টোবর) : মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, নারী-শিশু নির্যাতনকারী ও ধর্ষকের কোনো রাজনৈতিক, সামাজিক কিংবা পারিবারিক পরিচয় নেই। পরিবার ও সমাজ থেকে ধর্ষণকারীদের বর্জন করতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে চিরতরে বহিষ্কার করতে হবে। সিলেট এবং নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের ঘটনায় নির্যাতনকারী ও ধর্ষকদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের নামে মামলা হয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতনকারী ও ধর্ষকদের শাস্তি পেতেই হবে। সরকারের পাশাপাশি সকলের সন্মিলিত প্রচেষ্টায় সমাজ থেকে নারী ও শিশু নির্যাতন দূর করতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তন থেকে ভার্চুয়াল  মাধ্যম জাতীয় কন্যা শিশু দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর ও জাতীয় কন্যা শিশু এডভোকেসি ফোরামের যৌথভাবে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক পারভিন আক্তার। এবছর ‘আমরা সবাই সোচ্চার, বিশ্ব হবে সমতার’ প্রতিপাদ্য নিয়ে জাতীয় কন্যা শিশু দিবস উদ্যাপন করা হচ্ছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, কন্যা শিশুর নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানী প্রতিরোধ কমিটি করা হয়েছে। ঝরেপড়া রোধ ও উপস্থিতির হার বৃদ্ধির জন্য কন্যা শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে। স্কুল কলেজসমূহে স্বাস্থ্যসম্মত ওয়াশ ব্লক নির্মাণ করা হয়েছে। যে কোনো বিপদে তাৎক্ষণিক সহয়তার জন্য ন্যাশনাল হেল্প লাইন ১০৯ চব্বিশ ঘণ্টা চালু রয়েছে।

আলোচনা সভায় বক্তৃতা করেন জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান বেগম চেমন আরা তৈয়ব, অতিরিক্ত সচিব ফরিদা পারভীন, শিশু একাডেমির মহাপরিচালক জ্যোতি লাল কুরী ও জাতীয় কন্যা শিশু এডভোকেসি ফোরামের সম্পাদক নাসিমা আক্তার জলি। সভায় দেশের ৩৯টি সংগঠন ও ১২টি জেলা থেকে প্রতিনিধিরা সংযুক্ত ছিলেন।

উল্লেখ্য যে, জাতির পিতা ১৯৭৪ সালে শিশু আইন প্রণয়ন করেন। যার ১৫ বছর পরে ১৯৮৯ সালে জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদ প্রণয়ন করেন। বাংলাদেশ ২০০০ সালে কন্যা শিশু দিবসের সূচনা করেন। জাতিসংঘ ২০১১ সালে কন্যা শিশু দিবস পালন করে।