রায়পুরে পল্লী বিদ্যুতের নতুন সংযোগের নামে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ!

মো: আবদুল কাদের,রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ১নং ইউনিয়নের ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডস্থ ঝাউডোগী গ্রামের প্রায় ২শতাধিক গ্রাহককে হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পল্লী বিদ্যুতের নতুন সংযোগের নামে গ্রাহক হয়রানী করে প্রতি গ্রাহকের কাছ থেকে ৬-৭ হাজার টাকা আদায় করার অভিযোগ রয়েছে ওই এলাকার নজরুল (দালাল) নামে চিহ্নিত হারুন ও ওয়ার্কসপ আবু বিরুদ্ধে। তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়,মুকবুল আহম্মদ,মোঃ আলী,শাহাবুদ্দিন বলেন, তাহারা আমাদের কাছ থেকে নজরুল ও হারুন বিদ্যুৎ অফিসের খরচের কথা বলে এলাকার সহজ সরল খেটে খাওয়া লোকজনের কাছ থেকে অভিনব কায়দায় ধাপে ধাপে প্রতিটি গ্রাহকের নিকট ৮৫০ টাকার স্থলে ৫ – ৭ হাজার টাকা করে আদায় করার অভিযোগ রয়েছে এই দালাল চক্রের বিরুদ্বে।
তাছাড়া এই চক্রটি খুঁটি বাবদ ১ হাজার টাকা করে পূর্বেই হাতিয়ে নিয়েছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন। যারা তাদের দাবীকৃত টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাদেরকে বিদ্যুৎ সংযোগ থেকে বঞ্চিত রাখা হবে বলে হুমকী দেন দালাল চক্রটি। উদমারা গ্রামের বেলফা মার্কেটের পাশে কাসেম এই প্রতিবেদকে জানান, বিদ্যুৎ সংযোগ দিবে বলে তাদের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা নিয়েছে আলী আজগর। টাকা না দিলে বিদ্যুৎ সংযোগ দিবে না বলে হুমকি দেয় সে।
ঝাউডোগী গ্রামের সরদার বাড়ীর রুহুল আমিন সরদার বলেন, সবার কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা করে নিয়েছে নজরুল ও হারুন। ইউসুফ আলী জানান, এলাকার সবার কাছ থেকে বিদ্যুতের সংযোগ দিবে বলে টাকা নেওয়া হচ্ছে। কারো কাছ থেকে ৫ হাজার, কারো কাছ থেকে ৫-৭হাজার করে নিচ্ছে। এদিকে দালাল চক্র গ্রাহকদের ঘর ওয়ারিং এর জন্য নিজেদের মনোনীত ইলেকট্রিশিয়ান দ্বারা করতে বাধ্য করান। অন্যস্থান থেকে লোকজন আনতে গেলে তারা কাজ করতে বাধা প্রদান করেন। ফলে এই চক্রটি নিজেদের মুনাফা অর্জনের জন্য নিজেদের ইচ্ছা মত কাজ করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
দালালদের বিরুদ্বে সংবাদ কর্মীদের নিকট অভিযোগ করায় দালালরা নজরুল,হারুন,ওয়ার্কসপ আবু তাদেরকে বিভিন্ন ধরনের হুমকী ধমকি দিয়ে আসছে। এই পরিবার গুলো এখন নিরাপত্তাহীনতা ভুগছে বলে অভিযোগ রয়েছে। অভিযুক্ত নজরুল এই প্রতিবেদক’কে বলেন,আমি টাকা নিয়েছি সত্য কিন্তু অফিসের লোকদেরকে দিতে হবে, না দিলে গ্রাহকরা মিটার পাবে না। এ বিষয়ে ১নং ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোঃ শহিদ উল্যা বলেন, আমি আইন শৃংখলা বাহিনীর মিটিং এর সময় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জি এম কে বলেছি,আপনারা এলাকায় বিদ্যুৎ দেওয়ার সময়, আপনাদের ইঞ্জিনিয়ার, ডিজি এম ও ঠিকাদার সহ সবার সাথে আমাদের এলাকার লোক নিয়ে বসবো, তখন বিদ্যুতের জন্য কে টাকা নিয়েছে প্রমান পাব।
সরকারের সন্মান নষ্ট করতেছেন বিদ্যুতের দালালরা এসব লোকদের করণে সরকারের উন্নয়নের কাজে বেগাত সৃষ্টি হচ্ছে। দেখার কেউ নেই? এবিষয়ে লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জি এম মোঃ শাহাজান কবির জানান,আমরা পল্লী বিদ্যুতের লাইন নির্মাণ করি না। নোয়াখালি পল্লী বিদ্যুতের নির্বাহী প্রকৌশলী বিদ্যুতের লাইন নির্মাণ করে লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে বুঝিয়ে দেয়। এবিষয়ে নোয়াখালি পল্লী বিদ্যুতের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মহসিন জানান, আমরা কিছু পত্রিকার মাধ্যমে অভিযোগ জানতে পারলাম। এসব ঘটনায় গুলো তদন্ত করে, প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।