প্রধান মেনু

ফরিদপুরে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিশান মাহামুদ শামীম মানি লন্ডারিং মামলায় ৩ দিনের রিমান্ডে

মোঃমাহফুজুর রহমান বিপ্লব, ফরিদপুর প্রতিনিধিঃ দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের মামলায় ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিশান মাহামুদ শামীমকে তিন দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। শনিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বাকী বিল্লাহ এ আদেশ দেন। এর আগে শুক্রবার রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে শামীমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) একটি দল। এরপর শনিবার তাকে আদালতে হাজির করে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন সিআইডির তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে বিচারক তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ২৬ জুন ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ইমতিয়াজ হাসান রুবেলকে প্রধান আসামি করে অবৈধ উপায়ে দুই হাজার কোটি টাকা আয় ও পাচারের অভিযোগে ঢাকার কাফরুল থানায় মামলাটি দায়ের করে সিআইডি। সেই মামলায় সিআইডি রুবেল ও বরকতকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদে এর সঙ্গে জড়িত অনেকের নাম প্রকাশ করেন তারা। সিআইডি জানায়, রুবেল-বরকতের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ছাত্রলীগের সভাপতি নিশান মাহামুদ শামীমকে গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়া তার বিরুদ্ধে ফরিদপুরে চাঁদাবাজি ও হামলার মামলা রয়েছে।
এ মামলায় আরও গ্রেপ্তার হয়েছেন ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম খন্দকার লেভী ও জেলা শ্রমিকলীগের অর্থ সম্পাদক বেল্লাল হোসেন। উল্লেখ্য, গত ১৬ জুন রাতে শহরের মোল্লাবাড়ী সড়কে অবস্থিত জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল সাহার বাড়িতে দুই দফা হামলার ঘটনা ঘটে।এ ব্যাপারে সুবল চন্দ্র সাহা গত ১৮ জুন ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
৭ জুলাই পুলিশের বিশেষ অভিযানে সুবল সাহার বাড়িতে হামলার মামলায় গ্রেপ্তার হন ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সেই সময়ের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ইমতিয়াজ হাসান রুবেলসহ ৭ জন। এরপর ঢাকার সিআইডি পুলিশ বরকত ও রুবেলের অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়ে তদন্তে নামে। তদন্তে প্রাথমিকভাবে দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের তথ্য পেয়ে এই মামলা দায়ের করা করে সংস্থাটি।