প্রধান মেনু

৭ মার্চ পালন না করা প্রকারান্তরে স্বাধীনতা সংগ্রামকেই অস্বীকার করার শামিল — বিএনপির উদ্দেশে তথ্যমন্ত্রী

ঢাকা, ২৩ ফাল্গুন (৭ মার্চ) : ৭ মার্চ পালন না করা প্রকারান্তরে স্বাধীনতা সংগ্রামকেই অস্বীকার করার শামিল বলেছেন তথ্যমন্ত্রী  ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ।  আজ ঢাকায় সার্কিট হাউজ রোডের তথ্য ভবন মিলনায়তনে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে তথ্য মন্ত্রণালয়ের চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর আয়োজিত আলোচনা ও সম্মাননা স্মারক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিএনপি’র উদ্দেশে মন্ত্রী একথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আজ সেই ৭ই মার্চ, যেদিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন, তার ঐতিহাসিক ভাষণ বাঙালির রক্তে আগুন ধরিয়েছিল, নিরস্ত্র বাঙালি জাতি সশস্ত্র স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত হয়েছিল। আজ সমগ্র জাতি পালন করলেও বিএনপি ৭ই মার্চ পালন করতে পারে না এবং করে না। এটি তাদের রাজনৈতিক দীনতা। ৭ই মার্চ কোনো দলের নয়, এটি সমগ্র জাতির উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান বলেন, সমস্ত বিচার বিশ্লেষণ করে জাতিসংঘের ইউনেস্কো যে ৭ই মার্চের ভাষণকে পৃথিবীর ইতিহাসের অন্যতম প্রামাণ্য দলিল হিসেবে গ্রহণ করেছে, স্বীকৃতি দিয়েছে, সেই ৭ই মার্চের ভাষণকে বিএনপি-সহ কিছু গোষ্ঠী স্বীকৃতি দিতে পারে না, পালন করে না। ৭ই মার্চ পালন না করা প্রকারান্তরে স্বাধীনতা সংগ্রামকেই অস্বীকার করার শামিল।

বিএনপি’র উদ্দেশে তথ্যমন্ত্রী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর দ্বারপ্রান্তে এসে আমি আশা করবো, বিএনপি যে ভুলের রাজনীতি করছে, তা থেকে তারা বেরিয়ে আসবে এবং ভবিষ্যতে তারা ৭ই মার্চও পালন করবে। তাহলেই বরং বাংলাদেশের মানুষ তাদের বাহবা দেবে এবং তারাও তাদের নেতিবাচক ও ভুলের রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে। বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় তথ্যসচিব কামরুন নাহার বলেন,জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী যখন সমাগত, আজ ৭ই মার্চের এই দিনে দেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলাই হোক আমাদের শপথ।’

চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর (ডিএফপি)’র ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক স ম গোলাম কিবরিয়ার সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন সাবেক প্রধান তথ্য অফিসার ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর ও ডিএফপ’র সাবেক মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইসতাক হোসেন। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ঢাকায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণ ধারণ ও সংরক্ষণে দুঃসাহসী ভূমিকা পালনকারী ৮ জনের দলের দুই জীবিত সদস্য আমজাদ আলী খন্দকার ও সৈয়দ মইনুল আহসান এ সময় স্মৃতিচারণ করেন।

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্‌মুদ তাদের দ’জন ও অপর ছয় প্রয়াত সদস্য আবুল খায়ের মোঃ মহিব্বুর রহমান, জি জেড এম এ মতিন, এম এ রউফ, এস এম তৌহিদ, মোঃ হাবিব চোকদার ও মোঃ জোনায়েদ আলীর পরিবারের হাতে ৭ মার্চ সম্মাননা স্মারক তুলে দেন। প্রধান তথ্য অফিসার সুরথ কুমার সরকার, তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জাহানারা পারভীন, বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক বিধান চন্দ্র কর্মকার, চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান নিজামুল কবীর, তথ্য ক্যাডারের কর্মকর্তাবৃন্দ ও তথ্য মন্ত্রণালয়ের সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে যোগ দেন।