প্রধান মেনু

৬৩ তম সিএসডব্লিউ সম্মেলনের প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত

আগামী ১১ থেকে ২২ মার্চ নিউ ইয়র্কে অনুষ্ঠিতব্য কমিশন অন দ্য স্ট্যাটাস অভ ইউমেন (সিএস ডব্লিউ) এর ৬৩ তম সম্মেলন উপলক্ষে ইউএন ইউমেন বাংলাদেশ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যৌথ আয়োজনে আজ রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে এক প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় নারী উন্নয়নে বেইজিং প্লাটফরম ফর অ্যাকশন এবং সিডো ডিক্লারেশন বাস্তবায়নে সমস্যা ও সম্ভাবনা চিহ্নিত করে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ করার বিষয়ে অভিমত ব্যক্ত করেছেন বক্তারা। ৬৩ তম সিএসডব্লিউ সম্মেলনে সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থা, সরকারি সেবা প্রাপ্তি, জেন্ডার সমতা, নারীর ক্ষমতায়ন প্রভৃতি বিষয়ে আলোচনা হবে।

এই ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতি প্রতিবেদন পেশ করতে হবে। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুন নাহারের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইউএন ইউমেন বাংলাদেশের স্থানীয় প্রতিনিধি সুকো ইশিকাওয়া (ঝযড়শড় ওংযরশধধি), মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব ড. মোঃ শামসুল আরেফিন। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালায়াধীন বাস্তবায়িত নারী নির্যাতন প্রতিরোধে মাল্টি সেক্টোরাল প্রোগ্রাম প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. আবুল হোসেনের সঞ্চালনায় সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিকল্পনা কমিশনের জেনারেল ইকোনমিক ডিভিশনের জয়েন্ট চিফ ফায়জুল ইসলাম। সভায় সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিবৃন্দ, সিভিল সোসাইটির প্রতিনিধি, উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন দূতাবাসের প্রতিনিধিরা অংশ নেয়।

কামরুন নাহার বলেন, নারী উন্নয়নে সরকার নানামুখী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। নারী নীতি, ডমেস্টিক ভায়োলেন্স আইন, নারী উন্নয়ন বাস্তবায়নে কর্মপরিকল্পনা, ডিএনএ আইনসহ অনেক আইন প্রয়ণ করছে। দেশের ২ কোটি নারীকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ক্ষমতায়িত করার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। নির্যাতিত নারীদের সহায়তায় ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার ও ১০৯ হেল্প লাইন চালু করেছে। সুকো ইশিকাওয়া বলেন, বেইজিং ডিক্লারেশন ও সিডো সনদ বাস্তবায়নে বাংলাদেশ অনেক অগ্রগতি করেছে। কিন্তু এখনও কর্মক্ষেত্রে নারী পুরুষের অংশগ্রহণে সমতার সৃষ্ঠি হয়নি। সড়ক নারীদের জন্য এখনও নিরাপদ নয়। নারীর সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশকে আরো অনেক কাজ করতে হবে।