প্রধান মেনু

সৈয়দপুরে ১৫ বিনিয়গকারীর ৭০ লাখ টাকা নিয়ে পোল্ট্রি খামারি উধাও হাসু

নীলফামারী প্রতিনিধি ॥ নীলফামারীর সৈয়দপুরের এক পোল্ট্রি ব্যবসায়ী মালিকানার শেয়ার নিয়ে পোল্ট্রি খামারে বিনিয়োগের মাধ্যমে দ্রুত অর্থশালী হওয়ার লোভ দেখিয়ে পৃথক পৃথক ভাবে ১৫ জনের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। ১৫ যুবকের প্রায় ৭০ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে মশিউর রহমান হাসু খামারী। প্রতারনার শিকার যুবকরা দিশেহারা হয়ে অবশেষে মামলা করেছে আদালতে। প্রতারিত যুবকদের অভিযোগে জানা যায়, সৈয়দপুর উপজেলা শহরের পশ্চিম পাটোয়ারী পাড়ার (মাছুয়া পাড়ার) মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে মশিউর রহমান হাসু।

গত ৩ বছর ধরে তার বাড়ি সংলগ্ন জায়গায় দুটি পোল্ট্রি খামার চালিয়ে আসছেন। এখানে প্রায় ১০ হাজার ব্রয়লার মুরগী প্রতিপালন করতেন। লাভবান হওয়ায় তিনি পরিচিতজনদের উদ্বুদ্ধ করতেন এই ব্যবসায়। তার উদ্বুদ্ধকরণে বন্ধুমহলের ১৫ যুবক তার খামারে শেয়ারের মালিকানায় প্রলুব্ধ হয়ে প্রায় ৭০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন। এ সময় নিশ্চয়তা হিসেবে হাসু প্রত্যেককে বিনিয়োগের পরিমানে টাকার অংক বসিয়ে ব্যাংকের চেক প্রদান করে। এতে বিশ্বাসের সাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে তারা খামার দুটি পরিচালনা করতেন।

এর মধ্যে সৈয়দপুর উপজেলার খাতামধুপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জুয়েল চৌধুরী ভাই টিটো চৌধুরী ১০ লাখ, আমিনুল ৮ লাখ, মতিয়ার রহমান ৫ লাখ, আব্দুল হান্নান ৭ লাখ, মাসুদ রানা ১০ লাখ, মিতু ১০ লাখ, দুলাল ১০ লাখ, আব্বাস আলী শাহ ৮ লাখ, হিরো চৌধুরী ৫ লাখসহ প্রায় ১৫ জন মিলে ৭০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন। বছর না পেরুতেই হঠাৎ রাতের আধারে খামারের সকল মুরগি বিক্রি করে গা-ঢাকা দিয়েছে হাসু। প্রথমে তার পরিবারের লোকজন বিভিন্ন কথা বলে সময় ক্ষেপন করে।

এরপর দীর্ঘ ৩ মাস অতিক্রান্ত হলেও তার হদিস না মেলায় মাথায় হাত পরে ১৫ যুবকের। ফলে প্রতারিত বিনিয়োগকারীরা বিজ্ঞ আমলি আদালতে চেক ডিজঅনার মামলা দায়ের করেছেন তারা। বিনিয়োগকারী টিটো চৌধুরী জানান, সে আমার পরিচিত। তার মালিকানা শেয়ারের প্রলোভনে ১০ লাখ টাকা দেই। ব্যবসায় লোকসান দেখিয়ে টালবাহানা করে। কোন হিসেব দেয়না। এভাবে এক বছর কাটার পর জানতে পারি আমার মত আরো শেয়ারে বিনিয়োগকারী রয়েছে। পরে টাকার জন্য চাপ দিলে সে পালিয়ে যায়। তার বাড়িতে গিয়ে জানতে পারি বাড়িটিও তার ব্যাংকে বন্ধক রয়েছে।