প্রধান মেনু

সাভারে যুবতীকে ধর্ষনের চেষ্টা, আটক ধর্ষক

সাভারের হেমায়েতপুরে জয়নাবাড়িতে শান্তা (১৫) নামে এক মুসলিম যুবতীকে গত সোমবার (৫ জুন)  ধর্ষনের চেষ্টায় শ্রী সজল (৩৭) নামে এক হিন্দু যুবককে গ্রেফতার করেছে সাভার মডেল থানা পুলিশ।
সজল হেমায়েতপুরের জয়নাবাড়ী পাকার মাথায় ইসমাইল হোসেনের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন এবং ঐ বাড়ির ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করতেন। সে মাদারীপুর জেলার রাজউক উপজেলার ছাতিয়া গ্রামের শ্রী সুনীল বাড়ইয়ের ছেলে। ধর্ষনের শিকার শান্তা অভিযোগ করে বলেন, ‘আমি গার্মেন্টস এ চাকরি করি।বাবা মার সাথে এ একই বাসায় ভাড়া থাকি। পারিবারিক বিশেষ প্রয়োজনে আমার বাবা মা গ্রামের বাড়িতে যাওয়ায় আমি রাতের খাবার শেষে ঘুমিয়ে পড়ি । রাত প্রায় আনুমানিক ১ টায় সজল যাকে আমি কাকা বলে ডাকি সে কৌশলে আমার ঘরে প্রবেশ করে। আমাকে জাপটে ধরে আমার শ্লীলতাহানী ও ধর্ষনের চেষ্ঠা করে।’সে আরও অভিযোগ করে বলেন, চিৎকার চেচামেচি করার চেষ্ঠা করলে সজল তার মুখ চেপে ধরে এবং বটি দিয়ে কুপিয়ে খুন করার হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে প্রতিবেশীরা জেগে উঠলে সজল সেখান থেকে পালিয়ে যায়।ঘটনাটি ধামা চাপা দেওয়ার জন্য বাড়ির মালিক এবং মালিকের ছেলে শান্তাকে নানা রকম ভয় ভীতি দেখাতে থাকে। কিন্তু শান্তার বাবা মা গ্রাম থেকে এলে এ বিষয়ে ন্যায় বিচারের জন্য সাভার মডেল থানায় একটি অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে সাভার মডেল থানার এস আই জহিরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা পেয়ে ঘটনাস্থল হতে সজলকে গ্রেফতার করেন। সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করে জানা যায়, সজল একটি খারাপ প্রকৃতির ছেলে। সে একজন নিয়মিত মাদকসেবী। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সজলের এক প্রতিবেশী বলেন, এর আগে আরও দুইটি মেয়ের শ্লীলতা হানির চেষ্ঠা করেছিল সে। একজন হিন্দু ছেলে হয়ে মুসলমান মেয়েকে ধর্ষনের চেষ্ঠায় এলাকাবাসী এর তীব্র  নিন্দা জানিয়েছেন এবং এর সুষ্ঠ বিচার দাবি করেছেন।