সাংবাদিকদের ডিজিটাল গণমাধ্যম ও প্রযুক্তিসহ নিরাপত্তা বিষয়ে প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ—-মোস্তাফা জব্বার

ঢাকা, ২০ ভাদ্র (৪ সেপ্টেম্বর) : ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, দায়িত্বশীল গণমাধ্যম ও তার সাংবাদিকদের নিয়ে আমার উদ্বেগ নেই-কিন্তু নাম-ঠিকানা গোত্রহীন গণমাধ্যমের নামের প্রকাশনাগুলো আমাদের আতঙ্ক। তিনি সাংবাদিকদের ডিজিটাল গণমাধ্যম ও ডিজিটাল প্রযুক্তিসহ ডিজিটাল নিরাপত্তা বিষয়ে প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় পিআইবি মিলনায়তনে পিআইবি আয়োজিত টেকনোলজি মিডিয়া গিল্ড, বাংলাদেশ
(টিএমজিবি) সদসদের জন্য মোবাইল সাংবাদিকতা বিষয়ক তিন দিনব্যাপী প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী শুরুতেই বলেন যে, মোবাইল সাংবাদিকতা বস্তুত অনলাইন সাংবাদিকতা। ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের ফলে আগামীদিনের সাংবাদিকতা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং উল্লেখ করে তিনি বলেন, কাগজে ছাপা পত্রিকা প্রযুক্তির পরিবর্তনের ধারাবাহিকতায় বিলীন হয়ে যাওয়ার বিষয়টি সময়ের প্রশ্ন। রেডিও টিভিরও একই যাত্রাপথ। তিনি আরো বলেন, অনলাইন মিডিয়ার বিকাশের ফলে সাংবাদিকতার বর্তমান রূপ পরিবর্তন নতুন পৃথিবীর জন্য সূচনা মাত্র। ডিজিটাল প্রযুক্তি সংবাদ মাধ্যম এবং সাংবাদিকতা আগামী দুনিয়ায় এমন একটি জায়গায় নিয়ে যাবে যা এখন কল্পনাও করা যায় না বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী। কম্পিউটারে বাংলা ভাষার এই জনক বলেন, ডিজিটাল প্রযুক্তির বিকাশের ধারাবাহিকতায় আগামী দিনের দুনিয়ায় কম্পিউটারে কী বোর্ডের প্রয়োজন হবে না। কথা বললে সেটা শুদ্ধ ভাবে টাইপ হবে, বাংলা থেকে ইংরেজি, ইংরেজি থেকে বাংলায় শুদ্ধ অনুবাদ হবে ডিজিটাল যন্ত্রে। তিনি বাংলাদেশের সাংবাদিকতার প্রযুক্তিগত ও বিবর্তণের ইতিহাস রচনার আহ্বান জানান।
মন্ত্রী বলেন আগামীতে ডাটার ব্যবহার হবে গিগাবাইটে নয় টেরাবাইটে। বিবর্তনের ফলে যা কিছুই ঘটুক সাংবাদিকতায় অতীতের ধারাবাহিকতা বাদ দেয়াও যাবে না উল্লেখ করে অবিভক্ত ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক এই নেতা বলেন, অতীতকে বাদ দিয়ে আধুনিক সাংবাদিকতা করা যায় না। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাাধ্যমে অশ্লিলতা ও গুজব প্রতিরোধে গৃহীত বিভিন্ন ব্যবস্থা তুলে ধরে বলেন, আমরা ২৬ হাজার পর্ন সাইট এবং ২ হাজার জুয়ার সাইট বন্ধ করেছি। প্রতিদিন এই কাজ করছি। গুজব প্রতিরোধেও কার্যকর বিভিন্ন উদ্যোগ আমরা গ্রহণ করেছি বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
পিআইবি‘র মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষণার্থীদের পক্ষে টিএমজিবি‘র সভাপতি মোহাম্মদ কাওছার উদ্দীন এবং টিএমজিবি‘র ট্রাস্টির সাধারণ সম্পাদক আরাফাত সিদ্দিকী সোহাগ প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
জাফর ওয়াজেদ সাংবাদিকতার দক্ষতা বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, স্বাধীনতার পর সাংবাদিকতার বিকাশ হয়েছে, মিডিয়া বেড়েছে কিন্তু সে তুলনায় সাংবাদিক তৈরি করতে পারিনি আমরা। বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সালে পিআইবি অধ্যাদেশ জারি করে দেশে সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণের জন্য প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেন।
পরে মন্ত্রী প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে সনদ বিতরণ করেন।