প্রধান মেনু

বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানির অন্যতম উৎস হিসেবে বায়ুর আকার দিনে দিনে আরো বড় হবে—বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ২০ ভাদ্র (৪ সেপ্টেম্বর) : বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানির অন্যতম উৎস হিসেবে বায়ুর আকার দিনে দিনে আরো বড় হবে। উপকূলীয় অঞ্চলসহ দেশের ৯ টি স্থানে বায়ু বিদ্যুতের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের উদ্দেশ্য বায়ু প্রবাহের তথ্য উপাত্ত (ডেটা) সংগ্রহ করে  Wind Mapping কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে। সার্বিক উপর্যুক্ততা যাচাই করে বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্প গ্রহণ করা হবে।

আজ মংলায় ৫৫ মেগাওয়াট বায়ুভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিদ্যুৎ ক্রয়চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে যদিও বায়ু থেকে মাত্র ২­৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়, ৩টি প্রকল্পের মাধ্যমে ১৪৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজ চলমান, ৫টি প্রকল্পের অধীনে আরো ২৩০ মেগাওয়াট বায়ু বিদ্যুৎ প্রক্রিয়াধীন, তবুও বায়ুভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের আকার আরো বড় হবে। বাগেরহাট, মোংলায় স্থাপিত হতে যাওয়া ৫৫ মেগাওয়াট বায়ু বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের চুক্তি স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ নবায়নযোগ্য জ্বালানির পথে আরো একধাপ এগিয়ে গেল। পরিবেশ রক্ষার পাশাপাশি এধরনের প্রকল্প বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতেও শক্তিশালী ভূমিকা রাখবে।

আমেরিকার ন্যাশনাল রিনিউএবল এনার্জি ল্যাবরেটরি (NREL) প্রদত্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা যায়, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা বিশেষত খুলনার দাকোপ, চট্টগ্রামের আনোয়ারা এবং চাঁদপুরের নদী মোহনার এলাকাসমূহে ১০০ মিটার উচ্চতায় বাতাসের গড়বেগ ৬ মিঃ/সেঃ এর বেশি যা বায়ু বিদ্যুৎ উৎপাদনে অত্যন্ত সম্ভাবনাময়।

চুক্তিতে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের  পক্ষে বোর্ডের সচিব গোলাম রাব্বানী ও মোংলা গ্রিণ পাওয়ার লিমিটেডের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক Xu Wentao স্বাক্ষর করেন। ২০ বছর মেয়াদী এই চুক্তিতে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের মূল্য ১৩ দশমিক ২০ সেন্ট। চুক্তি স্বাক্ষরের ২৪ মাসের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে।

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের  চেয়ারম্যান মোঃ মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুঠানে অন্যান্যের মাঝে বিদ্যুৎ সচিব মোঃ হাবিবুর রহমান ও মোংলা গ্রিণ পাওয়ার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক Xu Wentao বক্তব্য রাখেন।