প্রধান মেনু

শেরপুরে ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বগুড়ার শেরপুরে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে ক্লিনিক। সরকারী অনুমোদন ছাড়াই নিয়ম বহির্ভূতভাবেই ক্লিনিকের ব্যবসা পরিচালিত হচ্ছে প্রায় ১২- ১৩টি ক্লিনিকে। এসব ক্লিনিকের কোন চিকিৎসক ও নার্স ছাড়াই চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। ফলে এসব ক্লিনিকে অপচিকিৎসায় প্রায়ই মৃত্যুবরণ করছে রোগী।

এরই ধারাবাহিকতায় শেরপুরের সততা হসপিটাল এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে গত ১৯শে সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে নাকের পলিপাস রোগ নিয়ে ভর্তি হন হাজেরা বেগম। চিকিৎসকরা হাজেরা বেগমের সকল পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে অপারেশন করতে বলেন পরিবারের লোকদের। রোগীকে অপারেশন থিয়েটার থেকে বের করে বেডে দেওয়ার ৬ ঘন্টা পর রোগীর জ্ঞান ফিরে আসে। কিন্তু রাত্রি শেষে হঠাৎ রোগী ছটফট করতে করতে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।

সেই সময় হাসপাতালে কোন কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্স না থাকায় রোগীর সাথে থাকা আত্মীয়-স্বজন চিৎকার করলে হাসপাতালের একজন ওয়ার্ডবয় তখন তাদের ম্যানেজারকে বিষয়টি জানায়। এরপর প্রায় ২/৩ ঘন্টা পর চিকিৎসক মৌসুমী আক্তার বৃষ্টি হাসপাতালে এসে রোগী হাজেরার অবস্থা দেখে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।

এ্যাম্বুলেন্স যোগে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছলে কর্তব্যরত চিকিৎসক হাজেরা বেগমকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। রোগীর আত্মীয়-স্বজন ও এলাকাবাসীর দাবী সততা হসপিটাল এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে নাকের পলিপাস অপারেশন করেই মৃত্যু হয়েছে হাজেরা বেগমের।

এ বিষয়ে সততা হসপিটাল এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ হাবিবুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেনি। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৌসুমী আক্তার বৃষ্টিকে মুঠোফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে আপনাদের জানানো হবে।