প্রধান মেনু

মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংরক্ষণে অনিয়মের প্রতিবাদে নীলফামারীর ছয় উপজেলার মুক্তিযোদ্ধাদের বিক্ষোভ ও স্মারকলিপি প্রদান

নীলফামারী প্রতিনিধি ॥ অফিস সহায়ক পদে কোটা বহালের দাবীতে নীলফামারীর ছয় উপজেলার মুক্তিযোদ্ধাদের বিক্ষোভ ও স্মারকলিপি প্রদান। ২৯ এপ্রিল সোমবার জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স কার্যালয় থেকে সকালে একটি র‌্যালী বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে। ১৫ থেকে ২২ লক্ষ টাকা উৎকোচ গ্রহনের মাধ্যমে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অফিস সহায়ক পদে নিয়োগ দান ও মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংরক্ষণ ও পালন না করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও স্মারক লিপি প্রদান করেছে মুক্তিযোদ্ধা, অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা সন্তান এবং সন্তানদের পুত্র ও কন্যা সন্তানেরা।

গত ১৪ এপ্রিল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অফিস সহায়ক পদে ১৭ জনকে নিয়োগ দেন জেলা প্রশাসন। ৪র্থ শ্রেনীভুক্ত অফিস সহায়ক পদে চাকরির নিয়োগ প্রক্রিয়ায় জেলা প্রশাসন কতৃক মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এবং সন্তানদের পুত্র-কন্যার জন্য শতকরা ৩০ শতাংশ কোটা থাকার কথা থাকলেও জেলা প্রশাসন তা সংরক্ষণ না করে কোন কোন প্রার্থীর কাছ থেকে ১৫ হতে ২২ লক্ষ টাকা উৎকোচ গ্রহন করে নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ তুলেছেন বিক্ষোভকারীরা। অনিয়ম দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের অপসারণ ও অবৈধ নিয়োগ বাতিল চেয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন মুক্তিযোদ্ধারা।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলার সাবেক কমান্ডার মোঃ শহীদুল ইসলাম, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সহকারী কমান্ডার মোঃ বাবুল হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা বংকু রায়, বিশু দেব রায়, শশী মোহন রায়, অমুল্য রতন, হানিফ, আব্দুল জলিল ও আব্দুল মালেক সহ সদর উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও সন্তানদের পুত্র-কন্যাদায়গন বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেয়।

এছাড়াও ডিমলা, ডোমার, জলঢাকা, কিশোরগঞ্জ ও সৈয়দপুর উপজেলাতেও এক যোগে বিক্ষোভ ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। সৈয়দপুরে সোমবার দুপুরে শহরের শহীদ ডাঃ জিকরুল হক সড়ক থেকে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার একরামুল হকের নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে গিয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেন। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও সন্তান কমান্ড সৈয়দপুরের আয়োজনে এ স্মারকলিপি প্রদান ও বিক্ষোভ মিছিল করা হয়।