প্রধান মেনু

ভ্যান ও নগদ অর্থ দিয়ে দরিদ্র বৃদ্ধের পাশে দাঁড়ালেন ইউএনও

নীলফামারী সংবাদদাতা ॥ ৭০ বছরের বৃদ্ধ বদ্ধিউজ্জামান। ৪ ইঞ্চি ছোট একটি পা তার। তাই একটি লাঠিতে ভর করে কষ্ট করে খোড়ায় খোড়ায় চলতে হয় তাকে। এভাবেই খুড়িয়ে খুড়িয়ে হেটেই গ্রাম থেকে শহরে এসে বিক্রি করেন শাক সবজি কিন্তু ভিক্ষাবৃত্তিকে আপন করেননি তিনি আজও। শাক সবজি বিক্রি করে সামান্য আয়ে কোনমতে চলে ছোট সংসার। তার উপর গত ৮ বছর আগে কুড়িয়ে পাওয়া একটিশিশুকে স্বযত্নে  লালন পালন করছেন তিনি। অসহায় শিশুকে বাঁচিয়ে নতুন জীবন দিয়েছেন বলে তার নাম রেখেছেন জীবন। বর্তমানে তার প্রয়োজন ছিল একটি ভ্যানের। যাতে সেই ভ্যানে করে তিনি শাক সবজি রেখে বিক্রি করে খোড়া জীবনে কিছুটা প্রশান্তি পান।

সোস্যাল মিডিয়ায় এ সংক্রান্ত তথ্যচিত্র উঠে আসে সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের শ্বাষকান্দর তালতলা পাড়ার বাসিন্দা বদিউজ্জামানের কষ্টের জীবন। এমন খবর পেয়ে এগিয়ে আসেন সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এস. এম. গোলাম কিবরিয়া। তাই গত ৩ এপ্রিল বুধবার রাতেই বৃদ্ধের ব্যাপারে খোঁজ খবর নেন। পরের দিন বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) উপজেলা পরিষদ চত্তরেই প্রতিবন্ধি বদিউজ্জামান দাদুর হাতে একটি ভ্যান ও নগদ ২ হাজার টাকা তুলে দেন তিনি। এসময় উপস্থিত ছিলেন সহকারি কমিশনার (ভূমি) পরিমল কুমার সরকার, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহজাহান মন্ডল ও সৈয়দপুরের অনলাইন এক্টিভিটিস্ট আলমগীর হোসেন, সুলতান, মোরসালিন ও সৈয়দপুরকে সিটি কর্পোরেশন চাই আন্দোলনের আহবায়ক তামিম রহমানের প্রমুখ।

উল্লেখ্য সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের শ্বাষকান্দর তালতলা পাড়ার প্রতিবন্ধি বদিউজ্জামান তার স্ত্রী ফাতেমা ও দুই ছেলে ফজলু, শরিফুলকে নিয়ে একটি ঝুপড়ি ঘরে থাকেন। ছেলে দুটি দিন মজুরীর কাজ করলেও সে আয়ে সংসার চলে না বলে ৭০ বছর বয়সেই খোড়া পায়ে ভর করেই সামান্য রোজগারের জন্য শাক সবজি বিক্রির জন্য সাঁজ সকালে বেরিয়ে যান তিনি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এস. এম. গোলাম কিবরিয়া জানান, বদিউজ্জামানের মত মানুষের জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমরা সব সময় এগিয়ে আসার চেষ্টা করে থাকি। সে এখন থেকে কাধে শাক সবজির বোঝা না নিয়ে যাতে ভ্যানে করে শাক সবজি বিক্রি করতে পারে তার জন্য ভ্যান ও কিছু অর্থের ব্যবস্থা করি। এভাবে প্রয়োজনীয় মানুষের পাশে সব সময় উপজেলা প্রশাসন থাকবে বলে জানান তিনি।