প্রধান মেনু

ব্যতিক্রমী প্রচারণায় এমপি প্রার্থী আব্দুল হাই মাষ্টার

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ ১২-১২-১৮ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীরা নিজে, দলের কর্মী এবং সমর্থক নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত তখন ব্যতিক্রমী এক শুধু একজনই। নিজের প্রচারণা জন্য নিজেই মাইকিং করছেন, যাচ্ছেন ভোটারদের দুয়ারে দুয়ারে। কুড়িগ্রাম-১ আসনের জাকের পার্টির প্রার্থী সাবেক ভূরুঙ্গামারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল হাই মাষ্টার।

সরেজমিনে দেখাযায়, ঝাপ খোলা একটি ইজি বাইকের সামনে পিছনে দুটি মাইক বেঁধে চষে বেড়াচ্ছেন নির্বাচনী এলাকা। বাজারে বাজারে থেমে চলছে কুশল বিনিময়সহ জনসংযোগ। মাইকে নিজের পরিচয় দিয়ে ভোট চাচ্ছেন তিনি। বাজারে বাজারে থেমে মাইকে ঘোষণা দেন, আমি হাই মাষ্টার, ভাই বোনদের বলে যাই গোলাপ ফুল মার্কায় ভোট চাই। আমাকে ভোট দিয়ে এলাকার সমস্যা সমাধানে সংসদে কথা বলার সুযোগ দিন। তার এ প্রচারনা ভোটের মাঠে যোগ হয়েছে নতুন মাত্রা। সাধারণ ভোটাররাও বেশ আগ্রহের সহিত শুনছেন তার মাইকিং।

এই বিষয়ে আব্দুল হাই মাষ্টার জানান, তার কোন কর্মী বাহিনী নেই, নিজেই প্রার্থী, নিজেই কর্মী এবং প্রচারক। তিনি সারা জীবন জনগণের কাজ করেছেন, নাগরীক সমস্যা, পরিবেশ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন তাই তাকেই মানুষ ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন।

উল্লেখ্য আব্দুল হাই মাষ্টার ২০০৮ সালে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা পরিষদ চেয়াম্যান নির্বাচিত হন। এর আগে তিনি একই উপজেলার বঙ্গসোনাহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। উপজেলা চেয়াম্যান থাকা কালিন অবস্থায় পরিবেশ রক্ষায় ভূরুঙ্গামারী উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকায় ময়লার ভাগাড়ে নেমে ময়লা পরিস্কার করতেন। বিষয়টি জনপ্রিয় ম্যাগাজিন ইত্যাদিতে উঠে আসে। ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মহাজোট প্রার্থী জাতীয় পার্টির একেএম মোস্তাফিজুর রহমানের নিকট পরাজিত হন।

আব্দুল হাই মাষ্টারের হলফনামানুসারে জানাযায়, ভুরুঙ্গামারী উপজেলা সদর ইউনিয়নের দেওয়ানের খামার গ্রামের মৃত: এন্তাজ আলীর পুত্র। তিনি বিএ পাস করেছেন। সম্পত্তি বলতে বাড়িভিটাসহ ২৮শতক জমি, একটি টিভি,ওয়ারড্রপ, ৫ভরি স্বর্ণ এবং নগদ ৫লাখ ২০ হাজার টাকা রয়েছে। তবে তার কোন ধরনের ঋণ বা মামলা নেই বলে জানানো হয়েছে।

কুড়িগ্রাম-১ আসন গঠিত হয়েছে দু’টি উপজেলা নিয়ে। এরমধ্যে নাগেশ্বরী উপজেলায় একটি পৌরসভা ও ১৪টি ইউনিয়ন এবং ভূরুঙ্গামারী উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত হয় এই আসনটি। এখানে মোট ভোটার সংখ্যা ৪লাখ ৬১হাজার ২৭২জন। এই আসনে কোন স্বতন্ত্র প্রার্থী না থাকলেও শুধু দলীয় প্রার্থী রয়েছেন।

এরমধ্যে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতিক আছলাম হোসেন সওদাগর ,জাতীয় পার্টি লাঙ্গল প্রতিক একেএম মোস্তাফিজুর রহমান,বিএনপি’র ধানের শীষ প্রতিক সাইফুর রহমান রানা, ইসলামী আন্দোলন হাতপাখা প্রতিক আব্দুর রহমান প্রধান, জাকের পার্টি গোলাপ ফুল প্রতিক আব্দুল হাই, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) আম প্রতিক জাহিদুল ইসলাম, জাতীয় পার্টি জেপি বাইসাইকেল প্রতিক রশীদ আমেদ, তরিকত ফেডারেশন ফুলের মালা প্রতিক কাজী লতিফুল কবির রাসেল।