বার্লিনে বাংলাদেশ দূতাবাসে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উদ্যাপিত
বার্লিন (জার্মানি), ১৭ এপ্রিল : জার্মানির বার্লিনে বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উদ্যাপিত হয়েছে। জার্মানিতে কোভিড-১৯ জনিত পরিস্থিতি বিবেচনা করে সংক্ষিপ্ত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা, মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহিদ এবং ২ লাখ নির্যাতিত মা-বোনদের স্মৃতির প্রতি আন্তরিক শ্রদ্ধা জানানো হয়। ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাণী পাঠ করা হয়।
আলোচনা অনুষ্ঠানে দূতাবাসের মিনিস্টার এম. মুর্শীদুল হক খান এবং কমার্শিয়াল কাউন্সেলর মোঃ সাইফুল ইসলাম বক্তৃতা করেন। আলোচনায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের প্রেক্ষিত, স্বাধীনতার লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকারের ভূমিকা, গ্রহণযোগ্যতা, আন্তর্জাতিকতা ও বর্তমান সময়ে মুজিবনগর দিবসের চেতনার প্রাসঙ্গিকতা বিষয়ে আলোকপাত করা হয়।
জার্মানিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোঃ মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া তাঁর বক্তব্যে ঐতিহাসিক এই দিনের প্রেক্ষাপট ও ঘটনাবলী উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, ১৭ এপ্রিল ১৯৭১ তারিখে মুজিবনগর সরকার গঠনের মধ্য দিয়ে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে একটি সাংবিধানিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়। আন্তর্জাতিক জনমত সৃষ্টি ও মুক্তিযুদ্ধকালীন সরকার পরিচালনায় নবগঠিত এই সরকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং এই সরকারের যোগ্য নেতৃত্ব ও দিক-নির্দেশনায় মুক্তিযুদ্ধ দ্রুততম সময়ে সফল সমাপ্তির দিকে এগিয়ে যায়। তিনি বলেন, ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও নেতৃত্বের গুণাবলী ধারণ করে তাঁর সুযোগ্য কন্যা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন, অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি বলিষ্ঠ ও নিরপেক্ষ কূটনীতির মাধ্যমে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের সকল শহিদ সদস্য, জাতীয় নেতৃবৃন্দ, মুক্তিযুদ্ধের সকল শহিদ ও নির্যাতিতা মা-বোন এবং বাংলাদেশের মানুষের জন্য দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।