প্রধান মেনু

প্রেসক্লাবের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করেছে বিএনপি–তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

ঢাকা, ২৬ আশ্বিন (১১ অক্টোবর) : জাতীয় প্রেসক্লাবে মির্জা ফখরুল সাহেবদের রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ের মতো সমাবেশ করে প্রেসক্লাবের পবিত্রতা ও মানমর্যাদা নষ্ট করা হয়েছে বলেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ।

আজ সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এবিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী একথা বলেন।

ড. হাছান বলেন, ‘প্রেসক্লাবে অবশ্যই সরকারের পক্ষে-বিপক্ষে বা সিভিল স্যোসাইটির আলোচনা সভা হতে পারে। কিন্তু নয়া পল্টনে কার্যালয়ের সামনে যেভাবে সমাবেশ হয়, প্রেসক্লাবকে সেভাবে সমাবেশস্থল বানানো সমীচীন নয়, যেটি রোববার বিএনপি করেছে বলে জেনেছি।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রেসক্লাব সাংবাদিকদের প্রতিষ্ঠান। এটি একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠান। এখানে রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ের সামনে যেভাবে সমাবেশ হয়, সেভাবে সমাবেশ করা সমীচীন নয়। মির্জা ফখরুল সাহেবরা এটি করেছেন। এতে প্রেসক্লাবের পবিত্রতা ও মানমর্যাদা নষ্ট করা হয়েছে বলে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি।’

নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানের মতো সরকারের পতন ঘটানোর জন্য বিএনপির ডাকের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহ্‌মুদ বলেন, ‘২০০৯ সালে সরকার গঠনের ৩ মাস পর থেকে সাড়ে ১২ বছর ধরে আমরা গণঅভ্যুত্থানের কথা শুনে আসছি। গত সাড়ে ১২ বছরের উন্নয়নের কারণে প্রতিটি মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে। বিএনপি ক্ষমতায় বসে আবার পেট্রোল বোমার রাজনীতি করবে, ৫শ’ জায়গায় বোমা ফোটাবে, দেশকে আবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন বানাবে এবং শায়খ আব্দুর রহমান, বাংলা ভাই, এগুলো সৃষ্টি করবে এজন্য বিএনপির পক্ষে মানুষ কখনো নামবে না। বিএনপি দিবাস্বপ্ন দেখছে।’

‘বিএনপি নেতারা প্রায়ই বলেন যে, জাতীয় ঐক্য স্থাপন করতে হবে, কিন্তু যে ঐক্যটা তারা করেছিলেন, সেই ঐক্যটাই বাতাস চলে যাওয়া বেলুনের মতো চুপসে গেছে’ বলেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘২০ দলীয় জোট যেটি বহু আগে তারা করেছিলেন সেই দলে এখন আট-দশটি দলের বেশি নেই। বাকি সবদল পালিয়ে গেছে। মির্জা ফখরুল সাহেবকে বলবো, তাদের বরং নিজেদের ঘর সামলানোর দিকে মনোযোগ দিয়ে আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা প্রয়োজন।’

ক্যাবল অপারেটিং সিস্টেম ডিজিটাল হওয়া প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে গত বৈঠকে সিদ্ধান্ত ছিল যে পয়লা অক্টোবর থেকে ক্লিনফিড বাস্তবায়ন করা হবে, সেই একই বৈঠকে তারাই বলেছিলেন যে ঢাকা ও চট্টগ্রামে ক্যাবল অপারেটিং সিস্টেম অনেকটাই ডিজিটাল হয়ে গেছে, নভেম্বরের ১ তারিখ থেকে পুরোটাই  তারা ডিজিটাল করতে পারবেন। এই ডিজিটালাইজেশনের জন্য আমরা বদ্ধপরিকর। এটি হলে সম্পূর্ণ সম্প্রচার মাধ্যমই লাভবান হবে।’

দক্ষিণ এশিয়ার নিক্কি প্রতিবেদনে করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রথমস্থান অধিকার প্রসঙ্গে ড. হাছান বলেন, ‘এই দেশে প্রধানমন্ত্রী যেভাবে করোনা নিয়ন্ত্রণ করেছেন সেটি আসলে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থাও প্রশংসা করেছে। এর আগে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর এই করোনা মোকাবিলার প্রশংসা হয়েছে। আমার মনে হয়, মির্জা ফখরুল সাহেবসহ যে সমস্ত বিশেষজ্ঞ এ বিষয়ে এতোদিন ধরে সমালোচনা করেছেন, এ ব্যাপারে তাদের কি বক্তব্য জানা প্রয়োজন।’