শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, প্রকল্পের কাজ সঠিকভাবে বাস্তবায়নে ও মূল্যায়নে পরিবীক্ষণ প্রতিবেদন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিবেদনের ভিত্তিতে প্রকল্পগুলোর সমস্যা চিহ্নিত করে ত্রুটিগুলো সংশোধনের উদ্যোগ নিলে প্রকল্প বাস্তবায়ন আরো সহজ ও সফলভাবে করা সম্ভব হবে।

তিনি আজ ঢাকায় বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র অডিটোরিয়ামে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)-এর মনিটরিং এন্ড ইভালুয়েশন উইং কর্তৃক প্রণীত বিভিন্ন প্রকল্পের ২০১৬ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর মেয়াদের অর্ধ-বার্ষিক পরিবীক্ষণ প্রতিবেদন প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, এ প্রতিবেদনে সবগুলো প্রকল্পের তথ্য একসাথে পাওয়া সম্ভব হয়েছে। এতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন সবগুলো প্রকল্পের সার্বিক মূল্যায়ন তুলে ধরা হয়েছে। এর আলোকে প্রকল্পের দুর্বলতাগুলো চিহ্নিত করে তা কাটিয়ে উঠতে হবে।

শিক্ষার মান উন্নয়ন প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, সারা পৃথিবীতেই এখন মান উন্নয়নের চেষ্টা চলছে। এটা শুধু বাংলাদেশের একার লড়াই না। ২০৩০ সালের মধ্যে মানসম্মত শিক্ষা অর্জনের জন্য জাতিসংঘ সকল দেশের জন্য এসডিজি-৪ লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। আমাদের এ লক্ষ্য অর্জনে প্রস্তুতি নিতে হবে।

মাউশি-এর মহাপরিচালক প্রফেসর ড. এস এম ওয়াহিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. আলমগীর, সেকায়েপ প্রকল্প পরিচালক ড. মো. মাহামুদ-উল-হক এবং বিশ্বব্যাংকের অপারেশনস্ এনালিস্ট টি এম আসাদুজ্জামান বক্তব্য রাখেন। অর্ধ-বার্ষিক প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে সংক্ষিপ্ত উপস্থাপনা তুলে ধরেন মনিটরিং এন্ড ইভালুয়েশন উইংয়ের পরিচালক ড. মো. সেলিম মিয়া।

এর আগে শিক্ষামন্ত্রী ২০১৬ সালের জুলাই-ডিসেম্বর মেয়াদের অর্ধ-বার্ষিক পরিবীক্ষণ প্রতিবেদনের মোড়ক উন্মোচন করেন। পরিবীক্ষন প্রতিবেদনে মাউশি’র বাস্তবায়নাধীন ১৩টি প্রকল্পের মূল্যায়ন তুলে ধরা হয়েছে।