প্রধান মেনু

পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি শতকরা ৬৩ ভাগ

ঢাকা, ৭ মাঘ (২০ জানুয়ারি) : সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আজ বনানীস্থ সেতু ভবনের সম্মেলন কক্ষে সেতু বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে মতবিনিময় সভা শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি শতকরা ৬৩ ভাগ এবং এ মাসের শেষ সপ্তাহে জাজিরা প্রান্তে আরো একটি স্প্যান স্থাপন করা হবে। এছাড়া ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝিতে ঞঁহহবষ ইড়ধৎরহম গধপযরহব (ঞইগ) এর মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে কর্ণফুলী টানেলের খনন কাজ শুরু হবে।

সেতু মন্ত্রী আরো জানান পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের মূল সেতুর অগ্রগতি শতকরা ৭৩ ভাগ, নদীশাসন কাজের অগ্রগতি শতকরা ৫০ ভাগ ও মোট ২৬১ টি পাইলের মধ্যে ১৯১টি পাইলের কাজ সম্পাদিত এবং আরো ১৫টি পাইলের আংশিক কাজ শেষ হয়েছে। মোট পিয়ার ৪২টি। এর মধ্যে ১৬টির কাজ পুরোপুরি সম্পন্ন হয়েছে। ১৫টি পিয়ারের কাজ চলমান আছে। মোট স্প্যান ৪১টি। ইতিমধ্যে ৬টি স্প্যান স্থাপন করা হয়েছে। ফলে এখন ৯০০ মিটার দৃশ্যমান।

এছাড়া ১৭টি স্প্যান প্রস্তুত রয়েছে। আরো ১৮টি স্প্যানের প্রস্তুত কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ৩.৪ কিলোমিটার দীর্ঘ চারলেন বিশিষ্ট কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণে ব্যয় হবে নয় হাজার আটশত আশি কোটি চল্লিশ লাখ টাকা। খনন কাজের জন্য চীন থেকে সংগৃহীত ঞঁহহবষ ইড়ধৎরহম গধপযরহব (ঞইগ) মেশিনটির পরীক্ষা নিরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝিতে আনুষ্ঠানিক ভাবে কর্ণফুলী টানেলের খনন কাজ শুরু হবে। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ পর্যন্ত সার্বিক অগ্রগতি শতকরা ৩০ ভাগ। ২০২২ সালে টানেলটির নির্মাণ কাজ শেষ হবে বলেও তিনি জানান।

এছাড়াও মন্ত্রী জানান যমুনা নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণ প্রকল্পের প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে রয়েছে। আগামী ২৪ জানুয়ারি পিইসি আহ্বান করা হয়েছে।

আট হাজার নয়শত চল্লিশ কোটি আঠারো লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পিপিপি প্রকল্পের ভৌত কাজ এ পর্যন্ত ১২৮৯ টি পাইল, ২৭০টি পাইল ক্যাপ, ৫৬টি ক্রস-বিম, কলাম ১৫৭ (সম্পূর্ণ) ও ৮২টি (আংশিক), ১৮৬টি আই গার্ডার নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। ১ম ধাপের ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হয়েছে এবং ২য় ও ৩য় ধাপের ক্ষতিপূরণ প্রদান চলমান আছে।

উল্লেখ্য ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পিপিপি প্রকল্পের বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান Italian Thai Development Public Company Limited র‌্যামসহ সর্বমোট দৈর্ঘ্য ৪৬.৭৩ কি.মি। এর মধ্যে মেইন লাইন ১৯.৭৩ কি.মি।

এক্সপ্রেসওয়েটি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর-কুড়িল-বনানী-মহাখালী- তেজগাঁও-মগবাজার-কমলাপুর-সায়েদাবাদ-যাত্রাবাড়ী হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালীতে মিলিত হবে। প্রকল্পটি ৩টি ধাপে সম্পন্ন হবে। ১ম ধাপ- শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বনানী, ২য় ধাপ- বনানী থেকে বড় মগবাজার, ৩য় ধাপ-বড় মগবাজার থেকে কুতুবখালী।

এ সময় সেতু বিভাগের সিনিয়র সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামসহ সেতু বিভাগের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।