প্রধান মেনু

পঞ্চগড় সীমান্তে দুই বাংলার মিলন মেলা

এন এ রবিউল হাসন লিটন, পঞ্চগড় প্রতিনিধি: পঞ্চগড়ের অমরখানা সীমান্তে দুই বাংলার মিলন মেলা। ভৌগোলিক সীমারেখার বেড়াজালে বন্দি দুই বাংলার মানুষ চান স্বজনদের সান্নিধ্য। আত্মার সুতোয় বাঁধা ভারত-বাংলাদেশের এসব বাঙালি সুযোগ পেলেই মিশে যান একে অন্যের সঙ্গে।

পঞ্চগড়ের অমরখানা সীমান্তে বাংলা-ভারত মিলন মেলায় লক্ষ মানুষের ঢল। বেদনা-বিধুঁর আত্মার টান, মানবতার সম্মিহান, কাঁটাতারের সীমান্ত বেড়া যেনো আজ উদ্বেলিত, নীথর লৌহকাঁটা আজ মানবতার মায়াজালের করুণা বিউগলে মোমের মত গলে পড়েছে । প্রায় সাত কিলোমিটার সীমান্তজুড়ে মানবতার ভারী কান্নায় আকাশ-বাতাস স্তব্দ হয়ে পড়ে। নববর্ষ উপলক্ষে প্রতি পহেলা বৈশাখে পঞ্চগড়ের অমরখানা সীমান্তে অনুষ্ঠিত হয় এই মিলন মেলা। কিন্তু এবার একদিন পরে দু’বাংলার এ মিলন মেলা।

দীর্ঘদিন পর আত্মীয়ের সঙ্গে দেখা করতে পঞ্চগড় এবং আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে দর্শণার্থীরা জড়ো হতে থাকে সীমান্তের উভয় পাশে। দুপুর হতে না হতেই কাটাতারের উভয় পাশে জড়ো হয় দুই বাংলার লাখো মানুষ। প্রায় সাত কিলোমিটার এলাকাজুড়ে শুরু হয় মিলন মেলা। বেড়ার দু’পাশে দুই দেশের নাগরিক হলেও জাতীতে তারা এক। এরা সবাই বাঙালি। একে অন্যের আত্মীয়। দীর্ঘদিন পর কাছের মানুষদের দেখতে পেয়ে তারা ভূলে যান সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া। বেড়ার ফাঁক গলিয়ে একে অন্যের হাত ধরেন, কথা বলেন। বিনিময় করেন নানান উপহার সামগ্রী। কেউ আবার কেঁদে ফেলেন আবেগে। বিজিবি এবং বিএসএফের সহযোগিতায় সন্ধার পূর্ব পর্যন্ত চলে এ মেলা।

রবিবার সকাল থেকেই নানান বয়সের মানুষ আসতে থাকে। দুপুরের প্রখর রোদ উপেক্ষা করে লাখো মানুষ অপেক্ষা করতে থাকে স্বজনদের এক নজর দেখতে। ওই সীমান্তের ৭৪৩, ৭৪৪ ও ৭৪৫ নং মেইন পিলার ঘেঁষে প্রায় সাত কিলোমিটার এলাকাজুড়ে দেখা যায় শুধুই মানুষের ঢল। পরিণত হয় দুই বাংলার স্বজনহারা মানুষদের মিলনস্থলে।