প্রধান মেনু

দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আইসিটি ল্যাব স্থাপন করা হবে — আইসিটি মন্ত্রী

ঢাকা, ৪ অগ্রহায়ণ (১৮ নভেম্বর) : ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, আগামী ২ বছরের মধ্যে দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আইসিটি ল্যাব ও মাল্টিমিডিয়া ক্লাশরুম স্থাপন করা হবে। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে শিক্ষকগণ নিজেদেরকে ডিজিটাল শিক্ষার উপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে। তিনি বলেন, প্রতিদিন বিদ্যমান পেশা বিলুপ্ত হচ্ছে। তাই প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বের সাথে টিকে থাকতে হলে তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞান অর্জন অপরিহার্য।

মন্ত্রী আজ ঢাকায় আইসিটি টাওয়ারে বিসিসি মিলনায়তনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন লার্নিং এন্ড আর্নিং প্রকল্প ও সারা দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার ও ভাষা প্রশিক্ষণ ল্যাব স্থাপন প্রকল্পের আওতায় সেরা প্রশিক্ষণার্থী ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ল্যাপটপ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব জুয়েনা আজিজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার। অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন আইসিটি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক একেএম খায়রুল আলম, লার্নিং এন্ড আর্নিং প্রকল্পের পরিচালক সৈয়দা সালমা জাফরীন এবং সারা দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার ও ভাষা প্রশিক্ষণ ল্যাব স্থাপন প্রকল্পের পরিচালক ড. মোঃ শাহাদাৎ হোসেন। মন্ত্রী বলেন, আমাদের নতুন প্রজন্ম অত্যন্ত মেধাবী।

তাই শিক্ষা জীবনের শুরু থেকে তাদের আইসিটি বিষয়ে জ্ঞান দিতে হবে। তিনি প্রাথমিক শিক্ষা স্তরে আইসিটি শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ৪০ বছরের কম বয়সীদের ডিজিটাল দক্ষতা অর্জন হবে বড় চ্যালেঞ্জ। প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আগামী ২০১৯ সালের মধ্যে ৪ হাজার ৫০০ ইউনিয়নকে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের আওতায় আনা হবে। বাংলাদেশ সারা বিশ্বে উন্নয়নের বিস্ময় হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, গত দশ বছরে দেশ দ্রুত এগিয়ে গেছে। তিনি বলেন, নতুন প্রজন্মকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে না পারলে জাতি পিছিয়ে পড়বে।

তিনি বিশ্ব জয়ের হাতিয়ার ল্যাপটপের সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে নিজেদের দক্ষ করে তোলার আহ্বান জানান। পরে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী সেরা প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে ৬৫০টি ব্যাচের মধ্য থেকে প্রতি ব্যাচে ২ জন করে ১ হাজার ৩০০ ল্যাপটপ ও মডেম বিতরণ করেন। এছাড়া দেশের ৮টি বিভাগের ২৫ জন সেরা প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে ল্যাপটপ বিতরণ করা হয়।