প্রধান মেনু

‘জুলিও কুরি বঙ্গবন্ধু সংসদ’ এর ‘বঙ্গবন্ধু শান্তি পদক’ প্রদান উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৫ সেপ্টেম্বর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির ৪৫ বছর পূর্তি উদযাপন এবং ‘জুলিও কুরি বঙ্গবন্ধু সংসদ’ এর ‘বঙ্গবন্ধু শান্তি পদক’ প্রদান উপলক্ষে নিন্মক্ত বাণী প্রদান করেছেন : “সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির ৪৫ বছর পূর্তি উদযাপন এবং ‘জুলিও কুরি বঙ্গবন্ধু সংসদ’ এর ‘বঙ্গবন্ধু শান্তি পদক’ প্রদান উপলক্ষে আমি সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। জাতির পিতা ছিলেন বিশ্বের মুক্তিকামী, নিপীড়িত, মেহনতি মানুষের অবিসংবাদিত নেতা। শান্তি, সাম্য, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি আজীবন সংগ্রাম করেছেন।

জেল, জুলুম, অত্যাচার, নির্যাতন সহ্য করেছেন। তাঁর অতুলনীয় সাংগঠনিক ক্ষমতা, রাষ্ট্রনায়কোচিত প্রজ্ঞা, মানবিক মূল্যবোধ, ঐন্দ্রজালিক ব্যক্তিত্ব বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতা সংগ্রামে ঐক্যবদ্ধ করে। তাঁর নির্দেশে বাঙালি জাতি মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও জাতীয়তাবাদকে রাষ্ট্রের মূলনীতি হিসেবে ঘোষণা করেন। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সংঘাতময় পরিস্থিতি উত্তরণে তিনি শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন। তিনি যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠন করেন। বিশ্বশান্তি পরিষদের শান্তি পদক কমিটি জাতির পিতার কর্মের সস্বীকৃতি পত্রে এ বিষয়গুলো উল্লেখ করে তাঁর অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ১৯৭৩ সালের ২৩ মে তাঁকে ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদকে ভূষিত করে। এটি ছিল বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় তাঁর অবদানের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।

বাংলাদেশের জন্য প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মান। জাতির পিতা ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারও প্রতি বৈরিতা নয়’ এবং ‘সকল বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান’কে পররাষ্ট্রনীতির মূলমন্ত্র হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। আমরা সরকার গঠন করে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় সব সময় জাতির পিতার নীতি ও আদর্শকে অনুসরণ করেছি। আমরা শান্তির জন্য ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছি। আমি আশা করি, ‘জুলিও কুরি বঙ্গবন্ধু সংসদ’-এর উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর ‘জুলিও কুরি শান্তি পদক’ অর্জনের জাতীয় ইতিহাসকে সংরক্ষণ ও গণমানুষের কাছে তুলে ধরতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হব। আমি ‘ জুলিও কুরি বঙ্গবন্ধু সংসদ’ আয়োজিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘জুলিও কুরি শান্তি পদক’ প্রাপ্তির ৪৫ বছর পূর্তি উদযাপন এবং ‘বঙ্গবন্ধু শান্তি পদক’ প্রদান অনুষ্ঠানের সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু

বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”