প্রধান মেনু

জাতীয়  সমাজসেবা দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী

ঢাকা, ১৭ পৌষ ( ১ জানুয়ারি) :  রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ আগামীকাল ২ জানুয়ারি ‘জাতীয়  সমাজসেবা দিবস’ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন : “সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় কতৃক ‘জাতীয় সমাজসেবা দিবস ২০২২’ উদযাপনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির ভাতা জিটুপি পদ্ধতিতে মোবাইল ‍ফিনান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে মানুষের দোড়গোড়ায় পৌঁছে যাচ্ছে। এ প্রেক্ষাপটে এবছরের জাতীয় সমাজসেবা দিবসের প্রতিপাদ্য ‘মুজিববর্ষের সফলতা, ঘরেই পাবেন সকল ভাতা’ যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতা। তাঁর নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে এবং দেশ পুনর্গঠনের কাজ শুরু হয়। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে দুস্থ ও অসহায় মানুষের জন্য তিনি বিভিন্ন কল্যাণধর্মী কর্মসূচি গ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭৪ সালে সুদমুক্ত ঋণ কার্যক্রম প্রচলন করে দেশে ও সমসাময়িক বিশ্বে অনন্য নজির স্থাপন করেন। এরই ধারাবাহিকতায় সরকার  প্রতিবন্ধী, অসহায় ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় ব্যাপক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের  অধীন সমাজসেবা অধিদফতর ৫২টি কর্মসূচির সমন্বয়ে সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। যা সামাজিক নিরাপত্তা বলয় সুদৃঢ়করণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। তবে প্রকৃত দরিদ্ররা যাতে সরকারের এসব কর্মসূচির সুফল ভোগ করতে পারে সে বিষয়ে সকলকে সচেষ্ট থাকতে হবে।

বাংলাদেশ ইতোমধ্যে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের কাতারে শামিল হওয়ার জন্য সরকার ব্যাপক উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। সকলকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির মহাসড়কে শামিল করতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাসমূহকে একসাথে কাজ করতে হবে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা  বাংলাদেশকে একটি আধুনিক কল্যাণ রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠায় সক্ষম হবো- এ প্রত্যাশা করি।

আমি জাতীয় সমাজসেবা ‍দিবস ২০২২ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করি। জয় বাংলা। খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”