প্রধান মেনু

জাতীয় যুব দিবসে প্রধানমন্ত্রীর বাণী

ঢাকা, ১৫ কার্তিক (৩১ অক্টোবর) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় যুব দিবস উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন: “সারাদেশে ১ নভেম্বর ‘জাতীয় যুবদিবস ২০১৯’ পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষে বাংলাদেশের যুবসমাজকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। এবারের প্রতিপাদ্য ‘দক্ষ যুব গড়ছে দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ অত্যন্ত যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুমহান নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। জাতির পিতা যুদ্ধবিধ্বস্ত সদ্য স্বাধীন দেশ পুনর্গঠনে সব ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। তিনি যুবকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার পাশাপাশি দেশ পুনর্গঠনের কাজে নিয়োজিত করেছিলেন।

বর্তমান সরকার যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মাধ্যমে শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ চর্চার মাধ্যমে তাদের মধ্যে নেতৃত্ব, দেশপ্রেম ও দায়িত্ববোধ জাগিয়ে তুলতে দেশব্যাপী ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। ২০০৯-১০ অর্থবছর হতে যুবদের জন্য সফলতার সাথে শুরু হয় ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচি। এযাবৎ এ কর্মসূচির মাধ্যমে ৩৭ টি জেলার ১২৮ টি উপজেলায় ২ লক্ষ ২৮ হাজার ৭ শত ৩৭ জনকে প্রশিক্ষণ দিয়ে ২ লক্ষ ২৬ হাজার ৪ শত ২ জনকে কর্মে নিয়োজিত করা হয়েছে। আগামীতে অবশিষ্ট সকল উপজেলায় এই কর্মসূচি পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হবে। যুবসমাজকে উৎপাদনমুখী ও দক্ষতাবৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ দিয়ে সহজ শর্তে ঋণ প্রদান করা হচ্ছে। দেশের ৬৪ টি জেলা যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও ৪৯৭ টি উপজেলায় ৮৩ টি ট্রেডে প্রশিক্ষণ কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রতিটি উপজেলায় যুব প্রশিক্ষণ ও বিনোদন কেন্দ্র স্থাপনের
কার্যক্রম চলছে।

আমরা ‘যুবকল্যাণ তহবিল আইন-২০১৬’ এবং ‘জাতীয় যুবনীতি -২০১৭’ প্রণয়ন করেছি। স্বেচ্ছাসেবী যুব সংগঠনগুলোকে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও জনসচেতনতামূলক কার্যক্রমে সম্পৃক্তকরণের লক্ষ্যে ‘যুব সংগঠন (নিবন্ধন এবং পরিচালন) আইন-২০১৫’ ও ‘যুব সংগঠন (নিবন্ধন ও পরিচালনা) বিধিমালা-২০১৭’ প্রণয়ন করা হয়েছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার ২০১৮ এ যুব সম্পর্কিত বক্তব্য হচ্ছে ‘তারুণ্যের শক্তি -বাংলাদেশের সমৃদ্ধি’। এটির তাৎপর্য বিবেচনায় দক্ষ ও সচেতন কর্মঠ যুবশক্তি গড়ে তুলতে উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় তাদের সম্পৃক্ত করা হচ্ছে। আমাদের প্রশিক্ষিত যুবসমাজ জাতীয় উন্নয়ন কর্মযজ্ঞে অর্থবহ অংশগ্রহণের মাধ্যমে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখছে। আমি প্রত্যাশা করি, দেশপ্রেমের মূলমন্ত্রে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে যুবসমাজ জাতির কল্যাণে নিজেদের আরো বেশি নিবেদিত করবে। আমি ‘জাতীয় যুব দিবস ২০১৯’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করছি। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”