চট্টগ্রাম বিভাগে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে সরকারি সহায়তা ও ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত

ঢাকা, ২৪ বৈশাখ (৭ মে) : চট্টগ্রাম বিভাগে করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ও কর্মহীন হয়ে পড়া বিভিন্ন প্রান্তিক ও হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে বিভিন্ন সরকারি সহায়তা ও ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
চট্টগ্রাম জেলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় হতে কোভিড-১৯ দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ খাতে বরাদ্দকৃত ৫ কোটি ৮৩ লক্ষ ২৫ হাজার টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ৮৫,৪৩৮ দুস্থ পরিবারের মাঝে ৪ কোটি ৪১ লক্ষ ১৮ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে যার সুফল ভোগ করেছে ৪,২৭,১৯০ জন প্রান্তিক, কর্মহীন মানুষ। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় এ জেলায় বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৮ কোটি ২৩ লক্ষ ৬৩ হাজার ৯৫০ টাকা যার মধ্যে এ পর্যন্ত ২০০ দুস্থ পরিবারের মাঝে ৯০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ ৬৫ লক্ষ টাকা ও গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ আরো ১৫ লক্ষ টাকা নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে জেলায় এ পর্যন্ত ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে আরো ১৬৭৭টি পরিবার।
কক্সবাজার জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ খাতে বরাদ্দকৃত ২ কোটি ১০ লক্ষ ৭৭ হাজার ৫০০ টাকার মধ্যে অদ্যাবধি ১ কোটি ৫৯ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা ৩৫,০৮৪ টি হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ৭ কোটি ৮৬ লক্ষ ২৭ হাজার ১৫০ টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ৫ কোটি ০৪ লক্ষ ২৮ হাজার ২৫০ টাকা বিতরণ করা হয়েছে যার ফলে উপকৃত হয়েছে ২,১৩,১১৫ টি প্রান্তিক পরিবার ও ৭,২৪,৯৯৫ জন মানুষ। তাছাড়া এ জেলায় ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে আরো ১,১১৬টি পরিবার। জেলাটিতে শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ বরাদ্দকৃত ৮ লক্ষ টাকার মধ্যে অদ্যাবধি ৩৪০টি হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ৪৮ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ বরাদ্দকৃত ৮ লক্ষ টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ২৯২টি দুস্থ পরিবারের মাঝে ৫৯ হাজার ৪০০ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
রাঙ্গামাটি জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ খাতে বরাদ্দকৃত ১ কোটি ৫৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মধ্যে অদ্যাবধি ১ কোটি ২৬ লক্ষ টাকা বিতরণ করা হয়েছে যার ফলে উপকৃত হয়েছে ২৫,২০০ পরিবার ও ৮৬,৯৮০ জন প্রান্তিক কর্মহীন মানুষ। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় জেলায় বরাদ্দকৃত ১ কোটি ৪১ লক্ষ ৭৫ হাজার ৯০০ টাকার মধ্যে এ যাবৎ ২৪,৫০০ হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ১ কোটি ১০ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ ১০ লক্ষ টাকা ও গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ আরো ১০ লক্ষ টাকা নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে যার বিতরণ প্রক্রিয়া অচিরেই শুরু হবে।
খাগড়াছড়ি জেলায় নগদ অর্থ সহায়তা (জিআর ক্যাশ) খাতে বরাদ্দকৃত ১ কোটি ২৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ১৮,৩০৮টি কর্মহীন পরিবারের মাঝে ৯৬ লক্ষ ২ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ১ কোটি ৪৯ লক্ষ ২৫ হাজার ১৫০ টাকার মধ্যে অদ্যাবধি ১ কোটি ৩ লক্ষ ৮০০ টাকা ২২,৭৫৭ টি দুস্থ অসহায় পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া জেলাটিতে শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ ৯ লক্ষ টাকা ও গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ আরো ৯ লক্ষ টাকা নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে জেলায় ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে আরো ৩৬টি পরিবার।
বান্দরবান জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ অর্থ সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ৯৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মধ্যে অদ্যাবধি ৭২ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা ১৪,৫২০টি হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে জেলাটিতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ২ কোটি ৬৫ লক্ষ ৮৬ হাজার ৯০০ টাকা যার মধ্যে এ যাবৎ ৩৩,৮০৯টি দুস্থ পরিবারের মাঝে ১ কোটি ৫২ লক্ষ ১৪ হাজার ৫০ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এ জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ ৭ লক্ষ টাকা ও গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ আরো ৭ লক্ষ টাকা নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে ইতোমধ্যে জেলায় ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে ১৩২টি পরিবার। তাছাড়া জেলাটিতে ১৪২৮টি অসহায় দরিদ্র পরিবারের মাঝে ১৪২৮ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
লক্ষ্মীপুর জেলায় করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সরকার কর্তৃক মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় জিআর (ক্যাশ) নগদ খাতে ১ কোটি ৫৪ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে যার মধ্যে অদ্যাবধি ৩০,৫০০টি হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ১ কোটি ৫২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। জেলায় ভিজিএফ সহায়তা (নগদ) অর্থ খাতে বরাদ্দকৃত ৩ কোটি ৩৭ লক্ষ ৭৬ হাজার ৫৫০ টাকার পুরোটাই ইতোমধ্যে দুস্থ, অসহায় পরিবারের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া এ জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ ০৯ লক্ষ টাকা ও গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ ১৩ লক্ষ টাকা নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে যা শীঘ্রই বিতরণ করা হবে।
নোয়াখালী জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ খাতে বরাদ্দকৃত ২ কোটি ৮১ লক্ষ টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ২৭,০০০ প্রান্তিক অসহায় পরিবারের মাঝে ১ কোটি ৩৫ লক্ষ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে এ জেলায় বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৭ কোটি ৫৪ লক্ষ ৮৮ হাজার ৮৫০ টাকা যার মধ্যে অদ্যাবধি ২৩,৩৩০টি দুস্থ পরিবারের মাঝে ১ কোটি ০৪ লক্ষ ৯৮ হাজার ৫০০ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে আরো ১৬০টি পরিবার। তাছাড়া জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ ৯ লক্ষ টাকা ও গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ আরো ৯ লক্ষ টাকা নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
ফেনী জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ অর্থ সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ১ কোটি ৪১ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকার মধ্যে ৩৪ লক্ষ ৬৫ হাজার ৫০ টাকা ১০,১১৫ টি দুস্থ ও অসহায় পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া জেলায় ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ১ কোটি ৬৫ লক্ষ ৬০ হাজার টাকার মধ্যে অদ্যাবধি ৫৪ লক্ষ ৭৯ হাজার ২০০ টাকা বিতরণ করা হয়েছে যার ফলে উপকৃত হয়েছে ৩৬,৮০০টি প্রান্তিক হতদরিদ্র পরিবার। ফেনী জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ বরাদ্দকৃত ৬ লক্ষ টাকা ইতোমধ্যে ৬০০ দুস্থ পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ জেলায় বরাদ্দকৃত ৬ লক্ষ টাকার বিতরণ প্রক্রিয়া অচিরেই শুরু হবে। তাছাড়া ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে জেলায় ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে আরো ১০০টি পরিবার।
কুমিল্লা জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ খাতে বরাদ্দকৃত ৫ কোটি ৩৮ লক্ষ টাকার মধ্যে ১ কোটি ৫৪ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা এবং ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ৮ কোটি ৬০ লক্ষ ১৩ হাজার টাকার মধ্যে ১ কোটি ৩৫ লক্ষ ৪০ হাজার ৯৫০ টাকা মোট ৫৯,৯৯১টি হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে অদ্যাবধি বিতরণ করা হয়েছে। জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ ৪২ লক্ষ টাকা ও গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ আরো ১৭ লক্ষ টাকা নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে যার বিতরণ প্রক্রিয়া শীঘ্রই শুরু হবে।তাছাড়া ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে জেলায় ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে আরো ২৭০০ পরিবার।
চাঁদপুর জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ অর্থ সহায়তা খাতে ২ কোটি ৭২ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে যার মধ্যে এ পর্যন্ত ২ কোটি ৩৮ লক্ষ টাকা ৪৭,৬০০টি প্রান্তিক দরিদ্র পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। অন্যদিকে জেলায় ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ৪ কোটি ৫৫ লক্ষ ৫১ হাজার ২৫০ টাকা ১,০১,২২৫ টি দুস্থ ও অসহায় পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া এ জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় খাতে ৮ লক্ষ টাকা ও গো-খাদ্য ক্রয় খাতে আরো ৮ লক্ষ টাকা নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ খাতে বরাদ্দকৃত ৩ কোটি ১৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মধ্যে ৬৯ লক্ষ ২১ হাজার ২০০ টাকা এবং ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ৬ কোটি ১১ লক্ষ ১৯ হাজার ৯০০ টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ৪ কোটি ৫৫ লক্ষ ৩৫ হাজার ৫০০ টাকা বিতরণ করা হয়েছে যার ফলে উপকৃত হয়েছে মোট ১,১৬,৮৫৯টি প্রান্তিক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার। ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে জেলায় ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে আরো ৮০টি পরিবার। তাছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ ৯ লক্ষ টাকা ও গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ আরো ৯ লক্ষ টাকা নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে যার বিতরণ প্রক্রিয়া অচিরেই শুরু হবে।
উল্লেখ্য, সংশ্লিষ্ট জেলা তথ্য অফিসারদের মাধ্যমে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিস হতে প্রাপ্ত তথ্যসূত্রে এসব জানা গেছে।