প্রধান মেনু

খুলনা বিভাগে করোনাকালীন সরকারি ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত

ঢাকা, ১০ জ্যৈষ্ঠ (২৪ মে) : করোনা ভাইরাসের সংক্রমণজনিত রোগ কোভিড-১৯ মোকাবিলার অংশ হিসেবে চলমান বিধিনিষেধের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া অসহায় মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করছে সরকার।  তারই অংশ হিসেবে খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলায় আজ গরিব, অসহায়, কর্মহীন এবং দুস্থ মানুষের মাঝে সরকারি ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় খুলনা জেলার ফুলতলা উপজেলায় কর্মহীন, অসহায় ও দুস্থ ৬ শত পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়। আজ (সোমবার) সকালে খুলনা জেলার ফুলতলা উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন প্রধান অতিথি হিসেবে এই ত্রাণসামগ্রী  বিতরণ করেন। খাদ্যসহায়তার মধ্যে ছিলো চাল, আলু, ডাল, সবজি ও মাছ।

যশোর জেলায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বরাদ্দসহ এ পর্যন্ত অসহায় মানুষের মাঝে ত্রাণ হিসেবে ৬১ হাজার পরিবারের মাঝে ৩ কোটি ৫ লক্ষ টাকা এবং ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় ৩ লাখ ১০ হাজার ৭ শত ৯৮ টি পরিবারের মাঝে ১৩ কোটি  ৯৮  লাখ ৫৯ হাজার ১ শত টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও, ১ হাজার ২ শত পরিবারের মাঝে শিশু খাদ্যের জন্য নগদ ৬ লক্ষ টাকা  এবং  ৩৩৩ হেল্পলাইনে কলের মাধ্যমে ২ হাজার ৪ শত টি পরিবারকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়।

বাগেরহাট জেলায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বরাদ্দসহ এ পর্যন্ত অসহায় মানুষের মাঝে ত্রাণ হিসেবে ৪০ হাজার  ৬ শত ৫০ টি পরিবারের মাঝে ২ কোটি  ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় ১ লাখ ৭২ হাজার ৮ শত ৯৯ টি পরিবারের মাঝে ৭ কোটি ৭৮ লাখ ৪ হাজার ৫ শত ৫০ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও  ৩৩৩ হেল্পলাইনে কলের মাধ্যমে ২ শত ৩৯ টি পরিবারকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়।

সাতক্ষীরা জেলায় এ পর্যন্ত অসহায় মানুষের মাঝে ত্রাণ হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বরাদ্দসহ ৪৫ হাজার ৯ শত ২৪ টি পরিবারের মাঝে ২ কোটি ২৯ লাখ ৬২ হাজার টাকা এবং ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় ২ লাখ ৮৭ হাজার ৩ শত ৪০ টি পরিবারের মাঝে ১২ কোটি ৯৩ লাখ ৩ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও, ৩ শত ৮ টি পরিবারের মাঝে শিশু খাদ্যের জন্য নগদ ১ লক্ষ টাকা এবং ১ শত ৯ টি পরিবারের মাঝে গোখাদ্য হিসেবে নগদ ১ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।  ৩৩৩ হেল্পলাইনে কলের মাধ্যমে ৯৭ টি পরিবারকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়।

চুয়াডাঙ্গা জেলায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বরাদ্দসহ এ পর্যন্ত অসহায় মানুষের মাঝে ত্রাণ হিসেবে  ২৩ হাজার  ৬ শত ৬৮ টি পরিবারের মাঝে ১ কোটি  ৭ লাখ ৬৩ হাজার টাকা এবং ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় ৫৩ হাজার ৮ শত ২৫ টি পরিবারের মাঝে ২ কোটি ৪২ লাখ ২১ হাজার ২ শত ৫০ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও  ৩৩৩ হেল্পলাইনে কলের মাধ্যমে ৪ শত ৬০ টি পরিবারের ২ হাজার ৩ শত জনকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়।

নড়াইল জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এ পর্যন্ত অসহায় মানুষের মাঝে ত্রাণ হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বরাদ্দসহ ২৪  হাজার  ৯ শত ৫৪ টি পরিবারের মাঝে ১কোটি  ২০ লাখ ৯৩ হাজার টাকা এবং ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় ৭৬ হাজার ৭৮ টি পরিবারের মাঝে ৩ কোটি  ৪২  লাখ ৩৫ হাজার ১ শত টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও ২ হাজার ৭৭ টি পরিবারের মাঝে শুকনো খাবারের প্যাকেট এবং ৩৩৩ কলের মাধ্যমে ৩০টি পরিবারকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়।

মেহেরপুর জেলায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বরাদ্দসহ এ পর্যন্ত অসহায় মানুষের মাঝে ত্রাণ হিসেবে ১৩ হাজার  ২ শত ৫০ টি পরিবারের মাঝে ৬২ লাখ ৬২ হাজার ৫ শত টাকা এবং ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় ১৫ হাজার ২ শত ৫০ টি পরিবারের মাঝে ৬৮ লাখ ৬২ হাজার ৫ শত টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও  ৩৩৩ হেল্পলাইনে কলের মাধ্যমে ১৫ টি পরিবারকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়।

কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ত্রাণ হিসেবে ৮২ টি পরিবারের ৪ শত ১০ জন সদস্যের মাঝে নগদ ৬১ হাজার ৫ শত টাকা  বিতরণ করা হয়।

মাগুরা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ত্রাণ হিসেবে ২ শত টি পরিবারের ১শত ৬২ জন সদস্যের মাঝে  ৫ শত টাকার মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।

উল্লেখ্য, সংশ্লিষ্ট জেলা তথ্য অফিসারদের মাধ্যমে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিস হতে প্রাপ্ত তথ্যসূত্রে এসব জানা গেছে।