প্রধান মেনু

কুষ্টিয়া জেলা কারাগারের বন্দীদের  রক্তশনাক্তকরণ শুরু 

মোঃ আকরাম হোসেন, (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধিঃ  মানুষের গুরুত্ব তখন হয় যখন সে অপরের বিপদে এগিয়ে আসে এবং সহযোগিতা হাত বাড়ায় ডিসি আসলাম হোসেন একটি মানুষের গুরুত্ব তখন হয় যখন সে অপরের বিপদে এগিয়ে আসে এবং সহযোগিতা করেন। কুুষ্টিয়া জেলা কারাগারে গতকাল  ৪’শ জন কারাবন্দীদের রক্তের গ্রুপ সনাক্তকরণ ও কার্ড বিতরন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
প্রধান অতিথি আরও বলেন, আত্মীয়স্বজন, অপরিচিত জনের রক্তের প্রয়োজন হলে রক্তের গ্রুপ জানা থাকলে তাৎক্ষনিক রক্ত দেওয়া সম্ভব। রক্তের গ্রুপ সনাক্তকরণ একটি মহৎ উদ্যোগ। জেল সুপারের উদ্যোগে এই মহৎ কাজ করার জন্য তাকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। জেলা প্রশাসক বলেন, একজন মানুষ শুধু একজন ব্যক্তি নয়, সকলের অংশ। তার ভালমন্দের উপর সকলের ভাগ্য জড়িত। ব্যক্তি কল্যাণ সাধনের মাধ্যমে দেশের কল্যাণ সাধন হয়। কারাগারে আটক অবস্থায় সংশোধন বিভিন্ন প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজেদের দক্ষ হিসাবে উপযোগী হয়ে বাহিরে উক্ত পেশায় নিয়োজিত থেকে সাবলম্বি হওয়া যায়।
তিনি কারাবন্দীদের কারাগারে বিভিন্ন শিক্ষা গ্রহণ করে সুন্দর ও উন্নত জীবনযাপন, ভাল আচরণ ও ভাল ব্যবহার করার জন্য বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেল সুপার জাকির হোসেন। সহযোগিতায় ছিলেন, কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন, কুষ্টিয়া ও কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ও কুষ্টিয়া জেলা কারাগারের সহকারী সার্জেন ডাঃ তাপস কুমার সরকার। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া কারাগারের ভারপ্রাপ্ত জেলার আমিরুল ইসলাম, ডেপুটি জেলার ডিএম আক্তারুজ্জামান, ফার্মাসিট আমিন বিন জামাল।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্বের বক্তব্যে জেল সুপার জাকির হোসেন বলেন, কারাগার নিরক্ষর মুক্ত ও মাদক মুক্ত রাখার জন্য বন্দীদের সংশোধন ও বিভিন্ন কার্যক্রম চালু করা হচ্ছে। কারাগারে মাদক মুক্ত রাখার জন্য বিভিন্ন ওয়ার্ডে ৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। সকালে ব্যায়ামের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিকালে ফুটবল, ভলিবল, কেরাম খেলার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ২জন  যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত বন্দী সাজা ভোগ করে বাহিরে গিয়ে জেলা প্রশাসনের কাছে সাহায্য চাইলে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে সাহায্য প্রদান করা হয়।
কারাগারে নিরক্ষর বন্দীদের অক্ষর জ্ঞান কুরআন শিক্ষার জন্য শিক্ষিত বন্দী ও বহিরাগত শিক্ষকের মাধ্যমে বন্দীদের শিক্ষা প্রদান করা হচ্ছে।  অনুষ্ঠান শেষে কুষ্টিয়া জেলা কারাগারে প্রথম বারের মত ৩৮৫জন পুরুষ ও ১৫জন মহিলা বন্দীদের রক্তের গ্রুপ সনাক্তকরণ ও কার্ড বিতরণ করা হয়। ব্লাড কার্ড হাতে পেয়ে বন্দীরা আনন্দ ও সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। এই অনুষ্ঠানে রক্তের গ্রুপ সনাক্ত করেন কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের সন্ধানী গ্রুপের ছাত্র-ছাত্রীরা ।