কানাডা সফররত বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, বাংলাদেশ এখন ১০% জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের দ্বারপ্রান্তে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের সময় বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। কানাডার বিনিয়োগকারীগণ এখানে বিনিয়োগ করলে লাভবান হবেন। বাংলাদেশ সরকার বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বেশ কিছু সুযোগ-সুবিধা প্রদান করছে। বাণিজ্যমন্ত্রী গতকাল কানাডার টরন্টোতে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল এবং অন্টারিও চেম্বার অভ্ কমার্সের (ওসিসি) যৌথ আয়োজনে প্রথমবারের মতো ‘বাংলাদেশ-কানাডা বাণিজ্য ফোরাম-২০১৯’ এর সভায় এসব কথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, কানাডা-বাংলাদেশ বাণিজ্য ফোরাম উভয় দেশের বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে। এ ফোরাম উভয় দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের নতুন ক্ষেত্র চিহিৃত করে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে সহায়তা করবে এবং ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করবে। টিপু মুনশি বলেন, বাংলাদেশের সাথে কানাডার এখন বাণিজ্য প্রায় ১৮০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এরমধ্যে বাংলাদেশ রপ্তানি করে ১৩৩৯.৮০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং আমদানি করে ৫৮৯.২৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। কানাডা বাংলাদেশকে ২০০৩ সাল থেকে পোলট্রি, ডেইরি, ডিম, অস্ত্র ও গোলাবারুদ ব্যতীত সকল পণ্যে শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধা দিচ্ছে। বাংলাদেশ এলডিসি থেকে বেরিয়ে যাবার পরও কানাডা শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধা অব্যাহত রাখবে বলে বাংলাদেশ আশা করে।

বাণিজ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআই এবং ওসিসি-এর মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। এফবিসিসিআই এর সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম এবং ওসিসি-এর সভাপতি রকো রসি স্মারকে স্বাক্ষর করেন। কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মিজানুর রহমান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, টরন্টোতে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল নাঈম উদ্দিন আহমেদ সহ কানাডার বিভিন্ন বহুজাতিক কোম্পানির শীর্ষ নির্বাহীবৃন্দ, কানাডার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান, শিল্পপতি, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নির্বাহীবৃন্দ, কানাডাস্থ বাংলাদেশের ব্যবসায়ীগণ
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।