প্রধান মেনু

কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনে মহান বিজয় দিবস পালিত

কলকাতা (ভারত), ১ পৌষ (১৬ ডিসেম্বর) : আজ কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন প্রাঙ্গণে  উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের ৪৯তম মহান বিজয় দিবস পালিত হলো। দিনের শুরুতে উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এরপর ‘বঙ্গবন্ধু কর্ণার’-এ স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করা হয়। তারপর একমিনিট নীরবতা পালন শেষে বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনস্থ ‘বাংলাদেশ গ্যালারী’-তে বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। এরপর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

দু’দিনব্যাপী বিজয় উৎসবের উদ্বোধনী বক্তৃতায় উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান বলেন, বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের প্রথম মিশন কলকাতা, ফলে বাংলাদেশের ৪৯তম বিজয় দিবসে এই মিশনে বিজয় উৎসব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ সরকারের প্রথম কার্যালয়ও এ মিশনটি। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মুজিবনগরে বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ নেয়ার পর ১৮ এপ্রিল কলকাতা মিশনে প্রথম পতাকা উত্তোলিত হয়। তিনি  আরো বলেন, ভারতবর্ষ তথা পশ্চিমবঙ্গবাসীর কাছে আমাদের ঋণের শেষ নেই। ৭২ লাখ শরণার্থী পশ্চিমবঙ্গে আশ্রয় নিয়েছিল। এ অঞ্চলের জনগণ তাদের খাবার ভাগ করে আমাদেরকে দিয়েছেন।

বিজয় উৎসবের দ্বিতীয় দিনে আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিদ্যুৎ মন্ত্রী শ্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। প্রধান আলোচক ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক বীর মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট কর্ণেল (অবঃ) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির, বীরপ্রতীক। এছাড়া আলোচক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননাপ্রাপ্ত ও বিশিষ্ট সাংবাদিক সুখরঞ্জন দাশগুপ্ত।

‘বাংলাদেশ-এর বিজয় উৎসব-২০২০’ এ দু’দিনই পশ্চিমবঙ্গ কলকাতায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি ছাত্র-ছাত্রীদের পরিবেশনায় থাকবে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আবৃত্তি, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আলোকচিত্র ও তথ্যচিত্র প্রদর্শনী। বিজয় দিবসের প্রথম দিনে আবৃত্তি করেন শুভদীপ চক্রবর্তী, চিরন্তন বন্দোপাধ্যায় ও রোজী ঘোষ দে। নৃত্য পরিবেশন করেন সুমিতা ভট্টাচার্য ও তার দল। এরপর বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী শমীক পাল গান পরিবেশন করে দর্শক শ্রোতাদের মুগ্ধ করেন।

বিজয় উৎসবের দ্বিতীয় দিনে আবৃত্তি করবেন প্রনতি ঠাকুর ও সৌমিত্র ঘোষ। নৃত্য পরিবেশন করবেন সুমিতা ভট্টাচার্য ও তার দল। সংগীত পরিবেশন করবেন বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী রুপঙ্কর বাগচী ও শতাব্দী রায়। এ অনুষ্ঠানের সঞ্চালকের দায়িত্বে ছিলেন সতীনাথ মুখোপাধ্যায়।