প্রধান মেনু

আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী

ঢাকা, ২ পৌষ (১৭ ডিসেম্বর) : রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ আগামীকাল ১৮ ডিসেম্বরআন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :“প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রতিবারের ন্যায় এ বছরও ‘আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ২০২০’ উদ্‌যাপিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবসে আমি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বসবাসরত অভিবাসী বাংলাদেশিদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। এবারের আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবসের প্রতিপাদ্য ‘মুজিববর্ষের আহ্বান, দক্ষ হয়ে বিদেশ যান’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।

প্রাচীনকাল থেকেই জীবিকার সন্ধান, আর্থ-সামাজিক, জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা কারণে মানুষ পাড়ি জমাচ্ছে দেশ থেকে দেশান্তরে। বর্তমানে বাংলাদেশের এক কোটির অধিক মানুষ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অভিবাসী হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তাঁরা গন্তব্য দেশের অবকাঠামো উন্নয়ন, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন ছাড়াও নিজ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন। একইসাথে পরিবার পরিজনের জীবন জীবিকা নির্বাহ এবং তাঁদের পারিবারিক ও সামাজিক জীবনমান উন্নয়নেও তাঁরা বিশেষ অবদান রাখছেন। তাঁদের পাঠানো রেমিট্যান্স জাতীয় অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি। দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে তাঁরাও গর্বিত অংশীদার। তাঁদের অবদানের কথা আমি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি।

সারাবিশ্বে করোনা মহামারি পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। অভিবাসী কর্মীগণ মহামারির মধ্যেও রেকর্ড পরিমাণ রেমিটেন্স প্রেরণের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে আরো শক্তিশালী করেছে। বৈশ্বিক করোনা মহামারির বিস্তার শুরু হবার পর থেকে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় বিভিন্ন দেশে আটকে পড়া অভিবাসীদের দেশে প্রত্যাগমণ, অভিবাসী কর্মীদের খাদ্য ও আর্থিক সহায়তাসহ তাঁদের প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করেছে যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।

অভিবাসীরা প্রবাসে বাংলাদেশের ভ্রাম্যমান দূত। তাই দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে গন্তব্য দেশের ভাষাজ্ঞান ও সংস্কৃতি জানার পাশাপাশি সে দেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে নিজ দেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে তুলে ধরতে হবে। অভিবাসী কর্মীরা যেন দেশে-বিদেশে কোথাও কোনোভাবে হয়রানির শিকার না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। দক্ষ জনশক্তি গঠন, বৈদেশিক কর্মসংস্থান, নিরাপদ অভিবাসন, মূল্যবান রেমিটেন্স আহরণ এবং প্রবাসী কর্মীগণের কল্যাণসহ অভিবাসন ব্যবস্থাপনার সার্বিক উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট সকলে আন্তরিক প্রচেষ্টা চালাবেন – এ প্রত্যাশা করি।

আমি ‘আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ২০২০’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সফলতা কামনা করছি।

জয় বাংলা।

খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”