ধুনটের পঞ্চাশোর্ধ ব্যক্তি শফিকুল ইসলাম এ বছর দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন
নিজেস্ব প্রতিনিধিঃ বগুড়ার ধুনটের পঞ্চাশোর্ধ ব্যক্তি শফিকুল ইসলাম এ বছর অনুষ্ঠিত দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত শিক্ষা গ্রহণের কোনো বিকল্প নেই। এ কথা নিজের মনের মধ্যে লালন করে সুপ্ত প্রতিভাকে বিকাশের জন্য বয়সটাকে তুচ্ছ করে এ বছর দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন
মেয়ে অনার্সের শিক্ষার্থী হলেও অনেকটা নাতি-নাতনির বয়সীদের সাথে পরীক্ষা কেন্দ্রে বেশ উদ্যোমী ও প্রাণচঞ্চল দেখা যাচ্ছিল ওই পরীক্ষার্থীকে। এ বছর অনুষ্ঠিত এসএসসি/দাখিল পরীক্ষায় শনিবার বগুড়ার শেরপুর উপজেলার শালফা টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজ কেন্দ্রে বাংলা বিষয়ে পরীক্ষা দিতে দেখা যায় পঞ্চাশোর্ধ এই শিক্ষার্থীকে।
কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, ধুনট উপজেলার চৌকিবাড়ী ইউনিয়নের চান্দিয়ার গ্রামের মৃত সোনাউল্লাহ শেখের ৫২ বছর বয়সী ছেলে শফিকুল ইসলাম নিজেকে শিক্ষিত হিসেবে গড়ে তুলতে ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে শেরপুর উপজেলার হাপুনিয়া দাখিল মাদরাসায় লেখাপড়া করে এ বছর দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। যার রেজি নং ১৬৩৯১৫, রোল নং ৩০৩৪৪৩।
এ বিষয়ে পরীক্ষার্থী শফিকুল ইসলাম জানান, পারিবারিক জীবনে আমার তিন মেয়ের মধ্যে বড় মেয়ে শেরপুর টাউনক্লাব মহিলা অনার্স কলেজে অধ্যায়নরত। মেজো মেয়ে ধুনট উপজেলার বিশ্বহরিগাছা কলেজে অধ্যায়নরত এবং ছোট মেয়েও স্কুলে লেখাপড়া করে পারিবারিকভাবে সকলেই শিক্ষার আলোয় আলোকিত হচ্ছে। তাহলে আমি কেন শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত থাকবো। তাই তাদের অনুপ্রেরণাকে কাজে লাগিয়ে আমি শিক্ষা জীবন শুরুর পর্যায়ে এ বছর দাখিল পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করছি। প্রথম দিন বাংলা বিষয়ের পরীক্ষায় শতভাগ প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে বলে জানান ওই পরীক্ষার্থী।
এ প্রসঙ্গে কেন্দ্র সচিব অধ্যক্ষ ইউসুফ আলী বলেন, অত্র কেন্দ্রে ২১৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৫২ বছর বয়সী শফিকুল ইসলামের দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ সমাজের অনেক স্বল্প শিক্ষিতদের অনুপ্রেরণা যোগাবে।
« ইউনিয়নের উন্নয়নের জন্য যে কোন ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত— চাঁদপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান প্রার্থী ত.ম মাসুদ পারভেজ (পূর্বের খবর)
(পরের খবর) চিলমারীতে ‘যৌন হয়রানিকারী’ শিক্ষকের শাস্তি দাবি »