প্রধান মেনু

শিল্পমন্ত্রীর সাথে শিপার্স কাউন্সিলের প্রতিনিধিদলের বৈঠক

আসন্ন বাজেটে জাহাজ নির্মাণ শিল্পখাতে বিদ্যমান ৩৫ শতাংশ কর্পোরেট ট্যাক্স তুলে দেয়ার দাবি জানিয়েছে শিপার্স কাউন্সিল অভ বাংলাদেশ। চলতি অর্থবছরের বাজেটে এখাতে ১৫ শতাংশ ভ্যাট ও ৫ শতাংশ অগ্রিম আয়কর (এআইটি) তুলে দেয়ায় দেশীয় জাহাজ নির্মাণখাতে উদ্যোক্তাদের আগ্রহ বেড়েছে। কর্পোরেট ট্যাক্স তুলে দিলে দ্রুত এ শিল্পখাতের বিকাশ ঘটবে। এর ফলে সমুদ্র পথে পণ্য আমদানি ও রপ্তানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজের অংশগ্রহণ বাড়বে। শিপার্স কাউন্সিল অভ্ধসঢ়; বাংলাদেশের এক প্রতিনিধিদল শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের সাথে বৈঠককালে এ দাবি জানান। ঢাকায় শিল্প মন্ত্রণালয়ে আজ এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে সংগঠনের চেয়ারম্যান মোঃ রেজাউল করিম, ভাইস চেয়ারম্যান আরিফুল আহসান, পরিচালক আরজু রহমান ভূঁইয়া, আফসার উদ্দিন আহমেদ, এ কে এম আমিনুল মান্নান (খোকন), সৈয়দ মোঃ বখতিয়ার, জিয়াউল ইসলামসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে শিপার্স কাউন্সিলের সদস্যদের কার্যক্রম সম্পর্কে শিল্পমন্ত্রীকে অবহিত করা হয়। এ সময় জানানো হয়, ১৯৭৭ সাল থেকে পেশাদার এ সংগঠনের সদস্যরা শিল্পপণ্যের বাজার সম্প্রসারণ ও বাণিজ্য বৃদ্ধিতে ইতিবাচক অবদান রেখে আসছে। সমুদ্র পথে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে যৌক্তিক ভাড়া নির্ধারণ, কন্টেইনারের ওপর অতিরিক্ত সারচার্জসহ শিপিং এজেন্টদের বিভিন্ন ধরণের বাড়তি চার্জ আরোপ সংক্রান্ত সমস্যা নিষ্পত্তি এবং পচনশীল পণ্য দ্রুত জাহাজীকরণে এ সংগঠনের কার্যকর ভূমিকা রয়েছে।

তারা বিএসটিআই কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে এ সংগঠনকে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানান। শিল্পমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার জাহাজ নির্মাণ শিল্পের বিকাশে প্রয়োজনীয় নীতি সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে এ শিল্পকে অগ্রাধিকার শিল্পখাতের তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার চরনিশানবাড়িয়া ও মধুপাড়া মৌজা এবং বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলার ছোটনিশানবাড়িয়া মৌজায় পরিবেশবান্ধব শিপ বিল্ডিং ও রিসাইক্লিং জোন গড়ে তোলা হচ্ছে। তিনি এ শিল্পে বিদ্যমান কর্পোরেট ট্যাক্স তুলে দেয়ার বিষয়ে একটি বাস্তবসম্মত প্রস্তাব শিল্প মন্ত্রণালয়ে প্রেরণের পরামর্শ দেন। এর ভিত্তিতে সংশ্লিষ্টদের সাথে আলোচনা করে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। সংগঠনটিকে বিএসটিআই কাউন্সিলের সদস্যভুক্ত করার বিষয়ে তিনি ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন। এর আগে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিবারের এক প্রতিনিধিদল শিল্পমন্ত্রীর সাথে তাঁর দপ্তরে সাক্ষাৎ করেন।

সাক্ষাৎকালে তারা শিল্প হিসেবে ঘোষিত চলচ্চিত্রের অনুকূলে প্রয়োজনীয় সুবিধা দেয়ার দাবি জানান। একই সাথে তারা চলচ্চিত্র শিল্পের আধুনিকায়নে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা বাড়ানোর তাগিদ দেন। তারা দেশীয় চলচ্চিত্রের সুরক্ষায় সিনেপ্লেক্স, মিনিপ্লেক্স ও উপজেলা শহরে অবস্থিত সিনেমা হলগুলোতে আধুনিক যন্ত্রপাতি ও আসন ব্যবস্থা স্থাপনে শিল্পমন্ত্রীর সহায়তা কামনা করেন। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিবারের যুগ্ম আহ্বায়ক মুশফিকুর রহমান গুলজার, সদস্য সচিব বদিউল আলম খোকনসহ সংগঠনের অন্য নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।