তামাক নিয়ন্ত্রণ নীতি চূড়ান্ত পর্যায়ে — স্বাস্থ্যমন্ত্রী

জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ নীতি ও স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জ ব্যবস্থাপনা নীতি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, শীঘ্রই ওই নীতিমালা কার্যকর করা হবে।
আজ রাজধানীর একটি পাঁচতারা হোটেলে সমকাল-প্রজ্ঞা আয়োজিত এক গোলটেবিল আলোচনায় মন্ত্রী এ কথা বলেন।
তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে সমন্বিত উদ্যোগের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, শুধু স¦াস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একার পক্ষে দেশ তামাকমুক্ত করা সম্ভব নয়। এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয় ও সেক্টরকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। তাহলে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ২০৪০ সালের মধ্যেই দেশ তামাকমুক্ত করা সম্ভ¢ব হবে।
তামাক নিয়ন্ত্রণের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে তামাক নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে আমার যতটুকু করণীয় আছে, তা করবো। তিনি বলেন, ধূমপান মুক্ত সনদপত্র ছাড়া কেউ মেডিকেল কলেজে ভর্তি হতে পারবে না। গত বছর থেকে এটি কার্যকর করেছি। সমস্ত স্বাস্থ্য স্থাপনা, কেন্দ্র ও মন্ত্রণালয়কে ধূমপানমুক্ত করেছি। গত বছর বিদেশে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি সম্মেলনে গিয়ে বলেছিলামÑঅধূমপায়ী ছাড়া কেউ স্বাস্থ্যমন্ত্রী হতে পারবেন না। বিশ^ নেতৃবৃন্দ এ বক্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ করেছিলেন।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, তামাককে মাদক বলা যায়। কারণ বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয় ও বিশ^বিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা ধূমপান করে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। ধূমপানের পরবর্তী ধাপে আরো ক্ষতিকর নেশায় তারা আসক্ত হয়ে পড়ে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ সন্ত্রাসী, জঙ্গি কার্যক্রমে জড়িয়ে পড়ে। তাই তামাকের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্র্কে সবাইকে সচেতন করে তুলতে হবে। এজন্য সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
সমকাল সম্পাদক গোলাম সারওয়ারের সভাপতিত্বে ও নির্বাহী সম্পাদক মুস্তাফিজ শফির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অব:) আব্দুল মালিক, কাজী খলীকুজ্জামান, বিএফইউজে সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের প্রমুখ।
এর আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী চ্যানেল আই কার্যালয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস ২০১৭ এর থিম সংয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন। অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, বিষণœতার মতো মানসিক সমস্যা যেন কোনো মানুষকে গ্রাস করতে না পারে সেজন্য স্বজন ও অভিভাবকদের সচেতন থাকতে হবে। সকলকে মনে রাখতে হবে বিষণœতায় আক্রান্ত হওয়ার কোনো নির্দিষ্ট বয়স নেই। মানসিক অবসাদকে ভুলিয়ে দিতে গান শোনা, বই পড়া এবং শরীরচর্চার অভ্যাস গড়ে তোলার ওপরও তিনি গুরুত্বারোপ করেন।