প্রধান মেনু

জাতীয় প্রবাসী দিবসে প্রবাসীদের জন্য এনআইডি চালু করল বাংলাদেশ হাই কমিশন, লন্ডন

যুক্তরাজ্য, ৩১ ডিসেম্বর: ব্রিটিশ-বাংলাদেশি প্রবাসীদের জন্য এনআইডি চালুর মধ্য দিয়ে ‘জাতীয় প্রবাসী দিবস ২০২৩’ উদ্‌যাপন করলো বাংলাদেশ হাই কমিশন, লন্ডন।

যুক্তরাজ্য প্রবাসী বীর মুক্তিযোদ্ধা, বাংলাদেশি কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ, কাউন্সিলের মেয়র ও কাউন্সিলরগণ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও রেমিটেন্স প্রেরণকারী প্রবাসীগণ, পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও বিশিষ্ট সাংবাদিকবৃন্দসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবাসী বাংলাদেশি ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতিতে জাতীয় প্রবাসী কল্যাণ দিবস, ২০২৩ উদ্‌যাপন করেছে বাংলাদেশ হাই কমিশন, লন্ডন।

এ উপলক্ষ্যে গতকাল দূতাবাসে আয়োজিত এক বিশেষ মতবিনিময় সভায় যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম তাঁর বক্তব্যে ব্রিটিশ-বাংলাদেশি প্রবাসীদের সাথে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক বন্ধনের কথা স্মরণ করে বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং ১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধসহ বিগত ৫২ বছরে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ব্রিটিশ-বাংলাদেশি প্রবাসীদের উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। হাইকমিশনার প্রবাসীবান্ধব বিভিন্ন জাতীয় নীতিমালা গ্রহণ এবং ৩০শে ডিসেম্বরকে জাতীয় প্রবাসী দিবস ঘোষণার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। হাইকমিশনার বলেন, গত পাঁচ বছরে যুক্তরাজ্য প্রবাসীদের মর্যাদা ও সম্মানের সাথে রেকর্ডসংখ্যক কনস্যুলার এবং ওয়েলফেয়ার সেবা প্রদান করেছে বাংলাদেশ হাই কমিশন, লন্ডন।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে লন্ডন থেকে ই-পাসপোর্ট এবং এনআইডি যুক্তরাজ্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের হাতে তুলে দিতে পেরে হাইকমিশন গর্বিত বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যুক্তরাজ্য ও আয়ারল্যান্ডে প্রবাসিদের সর্বপ্রকার সহায়তা প্রদান এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের কাজে সম্পৃক্ত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ হাইকমিশন, লন্ডন সদা অঙ্গীকারবদ্ধ। এফডিআই, রেমিট্যান্স প্রেরণ ও যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশি পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখার জন্য সিআইপি হিসেবে নির্বাচিত ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের অভিনন্দন জানিয়ে তিনি এই তিন ক্ষেত্রে আরো বেশি অবদান রাখতে প্রবাসীদের আহ্বান জানান।

মতবিনিময় অনুষ্ঠানের পরে হাইকমিশনার একজন বিশিষ্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিকের হাতে ই-পাসপোর্ট তুলে দেন। এরপর তিনজন বিশিষ্ট কমিউনিটি ব্যক্তিত্বের এনআইডি আবেদন গ্রহণের মাধ্যমে এনআইডি পাইলট প্রজেক্ট কার্যক্রমের উদ্বোধন করে হাইকমিশনার জানান, আগামী জানুয়ারি/ফেব্রুয়ারি মাসে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের উপস্থিতিতে লন্ডনে পূর্ণাঙ্গ এনআইডি সেবা কার্যক্রম চালু করা হবে।

এ প্রসঙ্গে হাইকমিশনার উল্লেখ করেন, এনআইডি কার্ডের জন্য বাংলাদেশি জন্মনিবন্ধন সনদ এবং বাংলাদেশি পাসপোর্ট থাকা বাধ্যতামূলক। প্রবাসীদের মধ্যে যাদের বাংলাদেশি জন্মনিবন্ধন সনদ নেই, তারা বাংলাদেশ হাইকমিশন লন্ডনের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আবেদন করলে তাদের যথাশীঘ্র বাংলাদেশের জন্মনিবন্ধন সনদ প্রদান করা হবে, যার মাধ্যমে তারা বাংলাদেশ হাইকমিশন লন্ডন হতে ই-পাসপোর্ট এবং এনআইডি গ্রহণ করতে পারবেন।