প্রধান মেনু

বিশ্ব মানবাধিকার দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী

ঢাকা, ২৪ অগ্রহায়ণ (৯ ডিসেম্বর) : রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন আগামীকাল বিশ্ব মানবাধিকার দিবস ২০২৩ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন : “জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, বাংলাদেশে কর্তৃক বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও মানবাধিকার দিবস ২০২৩ উদ্‌যাপনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। মানবাধিকার দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘Dignity Freedom, and Justice for All’ অর্থাৎ ‘সবার জন্য মর্যাদা, স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচার’ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হয়েছে বলে আমি মনে করি।

মানুষের মৌলিক অধিকার ও চাহিদা নিশ্চিতের পাশাপাশি, সকলের নিরাপত্তা বিধান, স্বাধীনতা ও মর্যাদা সমুন্নত রাখাই মানবাধিকার। মানবাধিকার একটি বিশদ ও সামগ্রিক বিষয়। কিন্তু দুঃখের বিষয়, একবিংশ শতাব্দীতে ও বর্তমানে তথ্য-প্রযুক্তির যুগেও বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও রক্ষায় প্রতিনিয়ত আন্দোলন-সংগ্রাম করতে হচ্ছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন মানুষের অধিকার রক্ষার জন্য লড়াই-সংগ্রাম করেছেন। তিনি বাংলাদেশের সংবিধানে সুনিপুণভাবে মানবাধিকারের বিষয়গুলো সন্নিবেশিত করেছিলেন। এই সাংবিধানিক অধিকার তথা মানবাধিকার সুরক্ষা ও উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়ে ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। মানবাধিকার বিষয়ে জনসাধারণের সচেতনতা বৃদ্ধি এবং মানবাধিকার রক্ষায় কমিশনের কার্যক্রম তৃণমূল পর্যায়ে আরো জোরদার করতে হবে। পাশাপাশি ফিলিস্তিনসহ বিশ্বের সকল নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের অধিকার রক্ষায় সোচ্চার হতে হবে।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে একটি গণমুখী ও কার্যকর প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে নিয়মিত গণশুনানি আয়োজন, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে অংশগ্রহণ এবং বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি উপস্থাপন, প্রতিবেদন দাখিল, বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানবাধিকার বিষয়ে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষকে সুপারিশ প্রেরণ; মানবাধিকার বিষয়ে গণসচেতনতা বৃদ্ধিকল্পে বিভিন্ন জেলার কমিটির সাথে মতবিনিময় সভা আয়োজন, শিশুর প্রতি সকল ধরনের সহিংসতা বন্ধে কার্যক্রম গ্রহণসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। আমি আশা করি, মানবাধিকার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় ভুক্তভোগীদের প্রতিকার পাওয়ার পথ সুগম করতে মানবাধিকার কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

আমি মানবাধিকার দিবস উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করছি।

জয় বাংলা।

খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”