প্রধান মেনু

মানুষের কল্যাণে নানা ধরনের ভাতা প্রচলনের ধারণাটি শেখ হাসিনার চিন্তাপ্রসূত—-তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

ঢাকা, ১৪ কার্তিক (৩০ অক্টোবর): তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেছেন, দেশে মানুষের কল্যাণে নানারকম ভাতা প্রচলনের ধারণাটি প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার চিন্তাপ্রসূত। ১৯৯৬ সালে তিনি যখন প্রথম প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন তখন বয়স্ক ও বিধবা ভাতা চালু করেছিলেন। তিনি বলেন, এর আগে বাংলাদেশে এই ধরনের ভাতা কখনো ছিলো না। পর্যায়ক্রমে বঙ্গবন্ধুকন্যা আরো কয়েকটি বিষয়ের ওপর ভাতা চালু করেন।

আজ ঢাকায় সচিবালয় থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে মন্ত্রী নিজ নির্বাচনী এলাকা চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার সরফভাটা ইউনিয়ন পরিষদ ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যৌথ উদ্যোগে সফরভাটার একটি কমিউনিটি সেন্টারে উপকারভোগী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে মন্ত্রী এ সব কথা বলেন। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর এই সমস্ত ভাতা বন্ধ হয়ে যায় এবং ভাতার টাকা লুটপাট হয়। কিছু কিছু ভাতা দিলেও সেগুলো তাদের আত্মীয়-স্বজন, কর্মচারীরা পেয়েছে, সাধারণ মানুষ পায়নি। বর্তমানে প্রতিটি ইউনিয়নে ৩ থেকে ৫ হাজার মানুষ নানারকম ভাতা পাচ্ছে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘ভাতা দেওয়ার ক্ষেত্রে কে কোন দলের তা কখনো দেখা হয়নি, যার প্রয়োজন তাকেই ভাতার আওতায় আনা হয়েছে। আওয়ামী লীগ যদি আবার ক্ষমতায় না আসে তবে এই ভাতা আর থাকবে না। তাই নৌকায় ভোট দিয়ে এই সরকারকে আবারও ক্ষমতায় আনতে হবে।’

সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ‘গত ১৫ বছর ধরে আমি আপনাদের পাশে ছিলাম। প্রতি সপ্তাহে এতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব থাকার পরও আমি চট্টগ্রাম কিংবা রাঙ্গুনিয়ায় যাই। করোনার প্রথম ধাপে সরকারের পাশাপাশি এক কোটি টাকার এবং দ্বিতীয় ধাপে পৌনে এক কোটি টাকার ত্রাণ দিয়েছি, প্রতি ইউনিয়নে পাওয়ার টিলার কিনে দিয়েছি।’

এ পর্যন্ত টানা তিনবার নির্বাচিত এমপি ড. হাছান আরো বলেন, ‘এখন দেড় কোটি টাকা খরচ করে ঘর করে দিচ্ছি, মানুষকে ট্যাক্সি, রিক্সা কিনে দিয়েছি, এখনো আমাদের দলের কেউ মারা গেলে তার পরিবারে উপার্জনের মাধ্যম সৃষ্টি করে দেয়ার ব্যবস্থা করি। পরিবেশমন্ত্রী থাকাকালে এক কোটি টাকার ঢেউটিন কিনে দিয়েছি। উন্নয়নে রাঙ্গুনিয়ার চেহেরা বদলে গেছে। এগুলোর মূল্যায়ন আপনারা করবেন, সেই প্রত্যাশা করি।’

ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিবের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার, সহসভাপতি আকতার কামাল চৌধুরী, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি বদিউল খায়ের লিটন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইউনুচ, উপজেলা তাঁতী লীগের আহ্বায়ক মোরশেদ তালুকদার, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাসেল রাসু।