ঢাকা, ২৯ আশ্বিন (১৪ অক্টোবর) : রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন আগামীকাল ‘বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস ২০২৩’ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন: “স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়-এর স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক স্যানিটেশন ও হাইজিন তথা স্বাস্থ্যবিধি বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ‘বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস ২০২৩’ পালনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই।

জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে স্বাস্থ্যসম্মত ও টেকসই স্যানিটেশন ব্যবস্থা এবং ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা অপরিহার্য। ডায়রিয়া ও পানিবাহিত নানা রোগ থেকে রক্ষা পেতে স্যানিটেশন ব্যবস্থা ও সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার অভ্যাস খুবই জরুরি। সরকার এ লক্ষ্যে নিরলস কাজ করছে। সকলের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন নিশ্চিত করতে উন্নত স্যানিটারি ল্যাট্রিন নির্মাণ, সব শ্রেণির মানুষের ব্যবহার উপযোগী পাবলিক ও কমিউনিটি টয়লেট স্থাপনসহ কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার অভ্যাস গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ওয়াশ ব্লক, পানির উৎস ও হাত ধোয়ার বেসিন নির্মাণ করা হচ্ছে। বিগত ১৪ বছরে স্যানিটেশনের জাতীয় কভারেজ ৯৯ শতাংশে উন্নীত করা সম্ভব হয়েছে।

বাংলাদেশ স্যানিটেশন-এর ‘সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা’ অর্জনে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে যা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে। এছাড়া টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সচেতনতামূলক কার্যক্রম বাস্তবায়নের ফলে করোনা ভাইরাসজনিত সংক্রমণে বিশ্বব্যাপী ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হলেও বাংলাদেশে এ রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়েছে।

স্যানিটেশন একটি চলমান প্রক্রিয়া যা মানুষের অভ্যাস ও আচরণ পরিবর্তনের মাধ্যমে অর্জন ও বজায় রাখা সম্ভব। এ প্রেক্ষিতে দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘আপনার নাগালেই পরিচ্ছন্ন হাত’ যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি। স্যানিটেশন ও হাত ধোয়া কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। স্যানিটেশন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাসমূহের সমন্বিত প্রয়াস অব্যাহত রাখতে আমি আহ্বান জানাই।

আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে ‘টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট’ অর্জনে দেশব্যাপী সুষ্ঠু স্যানিটেশন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। আগামীদিনে টেকসই স্যানিটেশন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পরিচ্ছন্নতা ও সঠিক স্বাস্থ্যবিধি অনুশীলনে বাংলাদেশ আরো এগিয়ে যাবে-এ আশাবাদ ব্যক্ত করছি।

আমি ‘বিশ্ব-হাতধোয়া দিবস ২০২৩’ উদযাপনের সফলতা কামনা করি।

জয় বাংলা।

খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”