প্রধান মেনু

বিশ্ব বসতি দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী

ঢাকা, ১৬ আশ্বিন (১ অক্টোবর) : রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন আগামীকাল ‘বিশ্ব বসতি দিবস ২০২৩’ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন : “বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘বিশ্ব বসতি দিবস ২০২৩’ পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।

টেকসই উন্নয়নের স্বার্থে টেকসই শহর ও জনপদ গড়ে তোলা জরুরি। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০ এর অভীষ্ট ১১-তে বিশ্বব্যাপী অন্তর্ভুক্তিমূলক, নিরাপদ, অভিঘাতসহনশীল এবং টেকসই নগর ও জনবসতি গড়ে তোলার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে সরকার টেকসই শহর ও জনপদ গড়ে তোলার জন্য নিরাপদ ও সাশ্রয়ী আবাসন, মৌলিক সেবায় পর্যাপ্ত প্রবেশগম্যতা নিশ্চিতকরণ এবং নিম্নবিত্তদের আবাসন নিশ্চিতকরণে কাজ করছে। প্রেক্ষিতে দিবসটির এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘Resilient Urban Economies. Cities as Drivers of Growth and Recovery’ অর্থাৎ ‘স্থিতিশীল নগর অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ও পুনরুদ্ধারে টেকসই নগরসমূহই চালিকাশক্তি’ যথার্থ ও সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।

বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল দেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার কর্মসংস্থান, আবাসন, শিক্ষা, চিকিৎসা, যানবাহন প্রভৃতি নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে এবং জনসংখ্যাকে জনসম্পদে রূপান্তরিত করতে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। পরিকল্পিত নগরায়ন দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে অন্যতম নিয়ামক। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে ঢাকাসহ দেশের প্রধান শহরগুলোর জন্য মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রণীত ডিটেইল্ড এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ ২০২২-৩৫) বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ, বাসযোগ্য, পরিকল্পিত ও টেকসই নগরায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আমার বিশ্বাস। এছাড়া আরবান রেজিলিয়েন্স প্রকল্প কেন্দ্রীয়ভাবে সমন্বিত এবং স্থানীয়ভাবে পরিচালিত দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার জন্য সক্ষম পরিবেশ তৈরিতে কাজ করছে। আমি আশা করি, আগামী দিনের নগর হবে দুর্যোগ সহনশীল এবং ভবন নির্মাণবিধি সঠিকভাবে পালনের মাধ্যমে আবাসন হবে নিরাপদ।

আমি ‘বিশ্ব বসতি দিবস ২০২৩’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সফলতা কামনা করছি।

জয় বাংলা।

খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”