প্রধান মেনু

মুম্বাইস্থ বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন-এ বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব-এর জন্মবার্ষিকী উদ্‌যাপন

মুম্বাই (ভারত), ২৬ শ্রাবণ (১০ আগস্ট): ’সংগ্রাম-স্বাধীনতা, প্রেরণায় বঙ্গমাতা’-এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন মুম্বাই-এ আজ বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব-এর ৯৩তম জন্মবার্ষিকী যথাযথ মর্যাদায় পালন করা হয়। এ উদ্দেশ্যে উপ-হাইকমিশন প্রাঙ্গনে তাঁর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পন, বাণী পাঠ, বিশেষ আলোচনাসভা, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শণ এবং দোয়া ও মোনাজাতের আয়োজন করা হয়।

মুম্বাইস্থ বাংলাদেশের উপহাইকমিশনার চিরঞ্জীব সরকার জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। এরপর তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সুদীর্ঘ আন্দোলন ও মুক্তিসংগ্রামের নেপথ্যের কারিগর, জাতির পিতার সক্রিয় সহযোগী, বাংলাদেশের প্রেরণা এবং মহীয়সী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব-এর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন। দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।

আলোচনা সভায় উপ হাইকমিশনার বঙ্গমাতার বর্ণাঢ্য ও গৌরবময় জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। তিনি বলেন অসাধারণ দূরদৃষ্টিম্পন্ন বঙ্গমাতা ছোটবেলা থেকেই ছিলেন দৃঢ়চেতা ও বলিষ্ঠ চরিত্রের অধিকারী । তিনি ছিলেন নির্লোভ, নিরহংকার ও পরোপকারী এক মহান ব্যক্তিত্ব। বিত্ত-বৈভব ও ক্ষমতা তাঁকে আকৃষ্ট করতে পারেনি। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সহধর্মিণী হয়েও তিনি সাদামাটা জীবনযাপন করতেন। তিনি একদিকে বঙ্গবন্ধুর পরিবার সামাল দিয়েছেন এবং অপরদিকে জাতির পিতাকে দিয়েছেন সাহস ও অনুপ্রেরণা। এভাবেই তিনি বাংলাদেশের স্বাধীকার আন্দেলনে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন। বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতা উত্তোর দেশ পুনর্গঠনের কাজে বঙ্গমাতা দৃঢ়তা, সাহসিকতা ও দূরদর্শিতার এক উজ্জল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তাঁর অপরিসীম ত্যাগ-তিতিক্ষা, সহমর্মিতা ও বিচক্ষণতাই তাঁকে বঙ্গমাতার আসনে আসীন করেছে। এসময়ে জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের সদস্যবর্গ, বঙ্গমাতার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত এবং দেশ ও জাতির মঙ্গল ও সমৃদ্ধি কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। এরপর বঙ্গমাতার জীবনভিত্তিক একটি প্রামাণ্যচিত্র ও প্রদর্শণ করা হয়।

উপ-হাইকমিশনের সকল কর্মকর্তা/কর্মচারী, প্রবাসী বাংলাদেশী এবং আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।