সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদের টেকসই আহরণে সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে—-মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

ঢাকা, ১৭ শ্রাবণ (০১ আগস্ট): সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদের পরিমিত ও টেকসই আহরণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
আজ রাজধানীর শের-ই-বাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে ‘ফিশারিজ সাবসিডিজ ইন দ্য কনটেক্সট অভ্ এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন অ্যান্ড ওয়ে ফরওয়ার্ড’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা জানান। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সাপোর্ট টু সাসটেইনেবল গ্র্যাজুয়েশন প্রকল্প এ কর্মশালা আয়োজন করে।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরীফা খানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ওপ্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ, ঢাকা চেম্বার অভ্ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মোঃ সমির সাত্তার এবং বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কাজী বেলায়েত হোসেন। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ও সাপোর্ট টু সাসটেইনেবল গ্র্যাজুয়েশন প্রকল্পের পরিচালক ফরিদ আজিজ। কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের সদস্য মোঃ হাফিজুর রহমান।
কর্মশালায় মন্ত্রী আরো জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাস্টার অভ্ দ্য মাস্টারস, চিফ আর্কিটেক্ট অভ্ অল আর্কিটেক্টস। একজন স্টেটসম্যান হিসেবে তাঁর দৃঢ়তা, আত্মবিশ্বাস, সততা, পরিকল্পনা, ধীশক্তি, অভিজ্ঞতা এবং দেশপ্রেমের ফলে এটা সম্ভব হয়েছে। তাঁর মতো একজন রাষ্ট্রনায়ক থাকায় বিশ্বের নানা প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও বাংলাদেশ স্বাভাবিক অবস্থায় চলছে, শঙ্কার জায়গা নেই।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর উদ্ধৃতি ছিল, মাছ হবে দ্বিতীয় প্রধান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী সম্পদ। আমরা ধীরে ধীরে সেদিকে এগিয়ে যাচ্ছি। সমুদ্রে আমাদের বিশাল সম্পদের সম্ভার রয়েছে। তিনি বলেন, অধিক মৎস্য আহরণের কারণে অনেক দেশ মৎস্যশূন্য হয়ে যাচ্ছে। আমাদের সামুদ্রিক জলসীমায় অনেক সময় অতিরিক্ত মৎস্য আহরণে বেপরোয়া চেষ্টা চালানো হয়। সমুদ্রে পরিমিত ও টেকসই মৎস্য আহরণে সরকার সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে অতি মৎস্য আহরণ বন্ধে সরকার কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে।
মন্ত্রী আরো বলেন, ২০২৬ সালে মৎস্য খাতে কী হবে সেটা মোকাবিলার জন্য দূরদৃষ্টি দিয়ে প্রস্তুতি নিতে হবে। এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনে সম্ভাবনা ও শঙ্কা দু’টিকে মাথায় রেখে আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। এক্ষেত্রে রাষ্ট্র সব ধরনের সহায়তা দেবে। মৎস্য রপ্তানিতে কোটা ও শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার না থাকলে আমাদের বিকল্প পথ বের করতে হবে। রপ্তানিতে দুর্বৃত্তপনা দূর করতে হবে বিশেষ করে বিষাক্ত দ্রব্য প্রবেশ করিয়ে বিদেশে ভাবমূর্তি নষ্ট করা বন্ধ করতে অতি মুনাফালোভী দুষ্ট চক্রকে মোকাবিলা করতে হবে।
শ ম রেজাউল করিম বলেন, সরকার পরিকল্পনা প্রণয়ন করবে, নীতি সহায়তা দেবে। বেসরকারি খাতে কেউ মৎস্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প স্থাপন করতে চাইলে সরকার সহজ শর্তে, স্বল্প সুদে ঋণ প্রাপ্তির ব্যবস্থা করবে, মেশিনারিজ আমদানির ক্ষেত্রে কর মওকুফ সুবিধা দেবে। মৎস্য রপ্তানির ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করবে।