গণসংগীত মানেই ফকির আলমগীর— সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ৯ শ্রাবণ (২৪ জুলাই): সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, পপ গানের সম্রাট বলতে আমরা আজম খানকে বুঝি। একইভাবে রবীন্দ্র সংগীতের স্বনামধন্য শিল্পী সনজিদা খাতুন, নজরুল সংগীতের ক্ষেত্রে যেমন ফিরোজা বেগম। তেমনি গণসংগীত মানেই ফকির আলমগীর। বাংলাদেশের গণসংগীতের জনক তিনি। তাঁর গানে ফুটে ওঠেছে গণমানুষের সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না, আনন্দ-বেদনা, সংগ্রাম প্রভৃতির নিখুঁত প্রতিচ্ছবি। সেজন্য তাঁর গান গণমানুষের নিকট এত জনপ্রিয়। ফকির আলমগীরের গান সাধারণ মানুষের হৃদয়কে স্পর্শ করেছে।
প্রতিমন্ত্রী গতকাল রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে জননন্দিত গণসংগীত শিল্পী ফকির আলমগীরের দ্বিতীয় প্রয়াণ বার্ষিকী উপলক্ষ্যে ঋষিজ শিল্পী গোষ্ঠী আয়োজিত ‘কথা-গানে ফকির আলমগীরকে স্মরণ’ ও ‘স্মৃতিপদক প্রদান’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ফকির আলমগীরবিহীন পহেলা বৈশাখ ও গণসংগীত সংশ্লিষ্ট যেকোনো আয়োজন পূর্ণতা পায় না। তিনি বলেন, ফকির আলমগীরের নামে আজ রাজধানীর একটি রাস্তার নামকরণ করা হয়েছে জেনে আমি অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছি। সেজন্য ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়রকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন প্রখ্যাত সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের নামে যাতে ঢাকার বিভিন্ন সড়কের নামকরণ করা হয়, সেজন্য মেয়র মহোদয়কে চিঠি দিয়ে অনুরোধ করবো। প্রতিমন্ত্রী এসময় ফকির আলমগীরের দ্বিতীয় প্রয়াণ বার্ষিকী উপলক্ষ্যে তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
ঋষিজ শিল্পী গোষ্ঠীর সভাপতি বেগম সুরাইয়া আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি জননেতা রাশেদ খান মেননে এম.পি। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও অভিনেতা মামুনুর রশীদ।
অনুষ্ঠানে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সুরকার ও সংগীত পরিচালক এবং কণ্ঠযোদ্ধা সুজেয় শ্যামকে প্রথমবারের মতো প্রবর্তিত ‘ফকির আলমগীর স্মৃতিপদক’ প্রদান করা হয়।