সুশাসন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে তথ্য অধিকার আইনের প্রয়োগ সুফল বয়ে আনবে — প্রধান তথ্য কমিশনার

ঢাকা, ৫ শ্রাবণ (২০ জুলাই):‘তথ্য অধিকার আইন: এনজিওদের স্ব-প্রণোদিত তথ্য প্রকাশ’ শীর্ষক এক কর্মশালা আজ ২০ জুলাই বৃহস্পতিবার যশোর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান তথ্য কমিশনার ডক্টর আবদুল মালেক।
কর্মশালায় প্রধান তথ্য কমিশনার বলেন, জনগণের তথ্য অধিকার প্রাপ্তি নিশ্চিত করার জন্য ২০০৯ সালের এপ্রিল মাসে তথ্য অধিকার আইন সংসদে পাস করা হয়। সুশাসন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে তথ্য অধিকার আইনের প্রয়োগ সুফল বয়ে আনবে। সরকারি অফিস, দপ্তর ও সংস্থার পাশাপাশি বিদেশী অর্থপুষ্ট এনজিওসমূহের যাবতীয় তথ্যাদি সহজলভ্য ও সর্বজনের প্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত করা দরকার। জনগণের প্রত্যাশা পুরণকল্পে স্ব-প্রণোদিত তথ্য প্রকাশ কার্যক্রম অত্যাবশ্যক।
ডক্টর আবদুল মালেক আরো বলেন, সর্বোচ্চ তথ্য প্রকাশ ও সর্বনিম্ন গোপনীয়তা- এটাই হোক প্রাতিষ্ঠানিক মন্ত্র। বিশুদ্ধ ও প্রকৃত তথ্য জানার অধিকার সমাজের তথা জনগণের রয়েছে, অন্যদিকে বিকৃত তথ্য, মিথ্যাচার, বিদ্বেষ ও ঘৃণাপ্রসূত তথ্য প্রচার এবং গুজব রটনা ইত্যাদি সমাজদেহের জন্য ক্ষতিকর। তিনি বলেন, তথ্য অধিকার আইনের সফল ও যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে জনগণের অধিকার সুনিশ্চিত করা হচ্ছে।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন যশোরের জেলা প্রশাসক মোঃ তমিজুল ইসলাম খান। কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক শেখ মনিরুজ্জামান। তথ্য অধিকার আইন নিয়ে আলোচনা করেন এমআরডিআই এর নির্বাহী পরিচালক হাসিবুর রহমান মুকুর। যশোর জেলার আটটি উপজেলার ৭৬ জন এনজিও প্রতিনিধি কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া সরকারি কর্মকর্তা ও সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।