প্রধান মেনু

বার্লিনে বাংলাদেশ দূতাবাসে বঙ্গবন্ধুর ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পুরস্কার প্রাপ্তির সূবর্ণজয়ন্তী উদ্‌যাপন

বার্লিন (জার্মানি), ২৬ মে: সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর ‘জুলিও-কুরি’ শান্তি পদকে ভূষিত হওয়ার ৫০তম বার্ষিকী পালন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ দূতাবাস, বার্লিন যথাযথ মর্যাদা, উৎসাহ ও উদ্দীপনার সাথে দূতাবাস প্রাঙ্গণে ‘বিশ্বশান্তি ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর অবদান’ শীর্ষক এক আলোচনা সভার আয়োজন করে। দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর উপস্থিতে এই অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।

জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। অনুষ্ঠানে জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রদানের প্রেক্ষাপট, বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর অবদানের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি এবং একই সাথে বাংলাদেশের জন্য প্রথম আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রাপ্ত সম্মানসূচক ‘জুলিও-কুরি’ শান্তি পদক এর গুরুত্ব তুলে ধরা হয়। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর প্রেরিত বাণী পাঠ করে শোনানোর পর শান্তি পদক প্রাপ্তির অনুষ্ঠানের একটি সংক্ষিপ্ত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যের শুরুতে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান -এর  অতুলনীয় সাংগঠনিক ক্ষমতা, রাষ্ট্রনায়কোচিত প্রজ্ঞা, মানবিক মূল্যবোধ, ঐন্দ্রজালিক ব্যক্তিত্ব এবং তাঁর ‘বঙ্গবন্ধু’ থেকে ‘বিশ্ববন্ধু’ হয়ে ওঠার বিষয়ে সংক্ষেপে উপস্থাপন করেন। জাতির পিতার শান্তির দর্শন কেমন করে তাঁর কর্মজীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে প্রতিফলিত হয়েছে এবং বর্তমান বিশ্বে সেটি কতোটা প্রাসঙ্গিক- এ বিষয়ে তিনি বিশেষ ভাবে উল্লেখ করেন। তিনি আরো বলেন যে, একই চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও নেতৃত্বের গুণাবলি ধারণ করে তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশসহ, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। বিভিন্ন সময়ে বিশ্বব্যাপী গুরুত্বপূর্ণ কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী তাঁর শান্তির দর্শনের রূপরেখাও তুলে ধরেছেন, যা বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে।