প্রধান মেনু

বাংলাদেশের নৌপথকে পৃথিবীর সাথে যুক্ত করতে চাই — নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ২ জ্যৈষ্ঠ (১৬ মে): নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের নৌপথকে পৃথিবীর সাথে যুক্ত করতে চাই। নৌপথ অনেক এগিয়ে যাচ্ছে; নৌপথের অনেক সম্ভাবনা আছে। নৌপথের আরো উন্নয়নে প্রকল্প নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়  যেন উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে সে লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, কুচক্রীমহল  পদ্মা সেতুর স্বপ্নের প্রকল্প নিয়ে মহাপরিকল্পনা নিয়েছিল। তারা ব্যর্থ হয়েছে। বিশ্বব্যাংক ও দাতা সংস্থাগুলো দেখেছে বাংলাদেশ অর্থের অপচয় করে না। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। বিশ্বব্যাংকও আমাদের সাথে আছে। বিশ্বব্যাংক-বাংলাদেশ সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিতে বিশ্বব্যাংক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তাদের সদর দফতরে আমন্ত্রণ জানিয়ে সম্মানিত করার জন্য নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিশ্বব্যাংক কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ছয়টি প্রকল্পের নির্মাণ ও উন্নয়ন সংক্রান্ত চুক্তিপত্র স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব বলেন। বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোস্তফা কামাল, বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি নুসরাত নাহিদ ববি।

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর উপস্থিতিতে চুক্তিপত্রগুলোতে স্বাক্ষর করেন বিআইডব্লিউটিএ’র পক্ষে প্রকল্প পরিচালক মো. আয়ুব আলী। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তমা কন্সট্রাকশন লিমিটেডের প্রতিনিধি মুকিতুর রহমান, এনডিই লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান রায়হান মুস্তাফিজ এবং দায়েং (Daeyang) ইন্ডাস্ট্রিয়াল কন্সট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডের পক্ষে জি হো ইউম (Ji-Ho-Youm)।

অভ্যন্তরীণ নৌপথে যাত্রী ও পণ্য পরিবহন সহজতর করার লক্ষ্যে আধুনিক সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধির জন্য বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে গৃহীত প্রকল্পগুলো হলো-অবকাঠামোসহ দু’টি জেনারেল কার্গো টার্মিনাল নির্মাণ, তিনটি প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ও একটি ডেক এন্ড ইঞ্জিন পার্সোনেল ট্রেনিং সেন্টার (ডিইপিটিসি) এর উন্নয়ন। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে ব্যয় হবে প্রায় ৮৩০ কোটি টাকা।  জেনারেল কার্গো টার্মিনাল দু’টি হলো- ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জস্থ পানগাঁও এবং ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার আশুগঞ্জ। প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল তিনটি হলো- চাঁদপুর, বরিশাল ও ঢাকার শ্মশানঘাট। এর মধ্যে শ্মশানঘাট টার্মিনালটি নতুনভাবে নির্মিত হচ্ছে। ডিইপিটিসিটি নারায়ণগঞ্জে অবস্থিত। প্রকল্পগুলোর কাজ এবছরের জুনে শুরু  হয়ে ২০২৫ এর মে মাসে শেষ হবে।

অভ্যন্তরীণ নৌপথে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের জন্য চট্টগ্রাম-ঢাকা-আশুগঞ্জ অঞ্চলের নৌ-করিডোরের সক্ষমতা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়ন সাধন এবং একে টেকসই খাত হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে চট্টগ্রাম-ঢাকা-আশুগঞ্জ ও সংযুক্ত নৌপথ খনন এবং টার্মিনালসহ আনুষঙ্গিক স্থাপনাদি নির্মাণ সংক্রান্ত প্রকল্পের আওতায় উক্ত প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হবে।