নির্মাণাধীন গণগ্রন্থাগার ভবন হবে আধুনিক স্থাপত্যকলার অনন্য নিদর্শন — সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ৩১ বৈশাখ (১৪ মে): সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, নির্মাণাধীন গণগ্রন্থাগার ভবন হবে আধুনিক স্থাপত্যকলার অনন্য নিদর্শন। ভবনটি নির্মাণ সম্পন্ন হলে এ গ্রন্থাগারটি হবে পরিবেশবান্ধব জায়গায় বসে জ্ঞান আহরণের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত স্থান। আর গ্রন্থাগার হলো সভ্যতা-সংস্কৃতির সূতিকাগার। শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতিসহ জীবনের সকল ক্ষেত্রেই গ্রন্থাগারের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য।
প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীতে কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে আয়োজিত সাপ্তাহিক ‘বিশেষ লার্নিং সেশন’ শীর্ষক কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের পর দেশ পুনর্গঠনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সময় পেয়েছিলেন মাত্র সাড়ে তিন বছর। এই নাতিদীর্ঘ সময়ে রাষ্ট্রের এমন কোনো সেক্টর নেই, যার উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু হাত দেননি। তিনি প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় গ্রন্থাগারের উন্নয়নে বিশেষ বরাদ্দ রেখেছেন। রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় সকল ধরনের আইন তিনি এসময় প্রণয়ন করেছেন। বর্তমান সময়ে এসে সেগুলোকে শুধু যুগোপযোগী করা হয়েছে মাত্র।
গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ আবুবকর সিদ্দিক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন সংস্কৃতি বিষয়ক সচিব খলিল আহমদ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের পরিচালক মোছাঃ মরিয়ম বেগম।
লার্নিং সেশনের এ সপ্তাহের বিষয় ‘খাদ্য ও পুষ্টি এবং আমাদের স্বাস্থ্য’। সেশনটিতে উপস্থাপন করেছেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (BARC) এর সাবেক পরিচালক বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ ড. মনিরুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, লাইব্রেরি ব্যবহারকারীদেরকে উৎসাহিত করতে এবং পাঠকদেরকে জ্ঞান অর্জনে সহযোগিতা করার লক্ষ্যে সমসাময়িক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ও শিক্ষামূলক বিষয়ের ওপর ‘বিশেষ লার্নিং সেশন’ এর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এখন থেকে প্রতি রবিবার এ সাপ্তাহিক সেশন অনুষ্ঠিত হবে। বিষয়ভিত্তিক অভিজ্ঞ শিক্ষাবিদ, পেশাজীবী ও বরেণ্য ব্যক্তিগণ নির্ধারিত সেশনসমূহ পরিচালনা করবেন।