প্রধান মেনু

কাঙ্ক্ষিত স্বাস্থ্যসেবা দিতে প্রধানমন্ত্রীর মতো নির্ভীক নেতৃত্ব দিতে হবে স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের — স্বাস্থ্যমন্ত্রী

নরসিংদী, ২৬ বৈশাখ (৯ মে): স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, উপজেলা পর্যায়ের সরকারি হাসপাতালের কাঙ্ক্ষিত সেবা বাদ দিয়ে দেশের মানুষের স্বাস্থ্য সেবার মানোন্নয়ন সম্ভব নয়। উপজেলা পর্যায়ের সরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোর অনেক জায়গাতেই মেশিন নষ্ট ছিল। কিছু জায়গায় তো মেশিনই ছিল না। লোকবলের অভাব ছিল। উপজেলা পর্যায়ে ডাক্তাররা বদলি নিয়ে ঢাকা বা জেলা পর্যায়ে চলে যেত। তদবির করে উপজেলা থেকে বদলি নিয়ে ঢাকায় আসা বন্ধ করা হয়েছে। নষ্ট মেশিন মেরামত করা ও প্রয়োজন অনুযায়ী নতুন মেশিন কেনা হয়েছে। পর্যাপ্ত লোকবল নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। টেকনিশিয়ান ও ফার্মাসিস্ট নিয়োগ দেয়ার কাজ চলমান আছে। উপজেলা পর্যায়ে বেড সংখ্যা বৃদ্ধি করা, ডায়ালাইসিস বেড দেয়া, উপজেলা হাসপাতালেই অপারেশন থিয়েটারে অপারেশন করার উদ্যোগ নেয়াসহ নানাবিধ কাজ করে উপজেলা পর্যায়ের সরকারি স্বাস্থ্যসেবার মান দ্বিগুণ বাড়ানো হচ্ছে।

মন্ত্রী আজ নরসিংদীর একটি বেসরকারি রিসোর্ট সেন্টারে ঢাকা বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) এর কার্যালয় আয়োজিত ঢাকা বিভাগীয় স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান প্রধানগণের সাথে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যখাতের সেবার মান বৃদ্ধি করার গুরুত্ব তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ থেকে অনেক মানুষ চিকিৎসার জন্য বিদেশে যায়, অনেক টাকা খরচ করে নিঃস¦ হয়ে যায়। অথচ আমাদের দেশে বড় বড় সরকারি হাসপাতাল আছে, দামী দামী যন্ত্রপাতি আছে, দেশে নামকরা চিকিৎসকও আছে। এখন শুধু আপনাদের (চিকিৎসক ও হাসপাতাল পরিচালক, স্বাস্থ্যখাতের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা) সদিচ্ছা ও আন্তরিকতা লাগবে। সরকার আপনাদের জন্য সবকিছুই করবে। নেতৃত্ব দিতে হবে আমাদের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতো করে মনে দেশপ্রেম নিয়ে। শেখ হাসিনা যেমন শত বাধা উপেক্ষা করেও দেশের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়ে দেশকে উন্নত দেশে পরিণত করতে দিন-রাত নির্ভীক কাজ করে যাচ্ছেন, নানা প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে যাচ্ছেন, আপনাদেরকেও সেভাবে কাজ করতে হবে। যিনি যে হাসপাতাল বা সরকারি স্বাস্থ্যখাত পরিচালনায় দায়িত্ব পাবেন তাকে সেই হাসপাতালের চিকিৎসা সেবার সকল দায়ভার নিতে হবে। এজন্য এমনভাবে সেবা দিতে হবে যাতে আগামীতে বিদেশ থেকে চিকিৎসা নিতে বাংলাদেশেই বিদেশিরা চলে আসে। আপনারা করোনা মোকাবিলায় সফল হয়েছেন, আর একটু আন্তরিক হলেই চিকিৎসা সেবাতেও সফল হবেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলমের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা শাখার সচিব আজিজুর রহমান, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের মহাপরিচালক অধ্যাপক টিটু মিয়া, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নাজমুল হক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা) অধ্যাপক আহমেদুল কবীর। সভায় সূচনা বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. ফরিদ হোসেন মিয়া। এছাড়া ঢাকা বিভাগের ১৩ জেলার সিভিল সার্জনস, জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক এবং ৭৬টি উপজেলা থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাগণ মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন।