জার্মান বিনিয়োগকারীদের সমুদ্র সম্পদ নিয়ে গবেষণা ও বিনিয়োগের আহ্বান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর

হামবুর্গ, জার্মানি, ৩ মে: বাংলাদেশের সমুদ্র সম্পদ নিয়ে গবেষণা ও বিনিয়োগের জন্য জার্মান বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
গতকাল জার্মানির হামবুর্গের অ্যাংলো-জার্মান ক্লাবে ‘বাংলাদেশ: সাসটেইনেবলিটি অব সিফুড সাপ্লাই চেইন অ্যান্ড কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স’ শীর্ষক ব্যবসায়িক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানকালে মন্ত্রী এ আহ্বান জানান। বাংলাদেশ দূতাবাস, জার্মানি, সলিডারিডাড নেটওয়ার্ক এশিয়া, বাংলাদেশ এবং জার্মান-এশিয়া প্যাসিফিক বিজনেস অ্যাসোসিয়েশন যৌথভাবে এ সেমিনার আয়োজন করে।
জার্মানিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক, জার্মান ফিশ প্রসেসিং ইন্ডাস্ট্রির ফেডারেল অ্যাসোসিয়েশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. ম্যাথিয়াস কেলার, গ্লোবাল গ্যাপ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিশ্চিয়ান মোলার, জার্মান-এশিয়া প্যাসিফিক বিজনেস অ্যাসোসিয়েশনের কান্ট্রি কমিটির চেয়ারম্যান থমাস কনিং, জার্মান-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের সিনিয়র সহসভাপতি আব্বাস আলী চৌধুরীসহ জার্মানির মৎস্য খাতের আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীরা সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন।
সেমিনারে মন্ত্রী বলেন, জার্মানি অনেক প্রাচীন, উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ। এ দেশের প্রযুক্তি, নীতি, গবেষণা অনেক সমৃদ্ধ। মৎস্যখাতে জার্মানি ও বাংলাদেশের একসাথে কাজ করার ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। এখাতে দু’দেশের বিশেষজ্ঞ পর্যায়ে পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময়েরও সুযোগ রয়েছে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ প্রাকৃতিক সম্পদে পরিপূর্ণ একটি দেশ। বিশেষ করে বাংলাদেশে বিপুল পরিমাণ সমুদ্র সম্পদ রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সর্বোচ্চ কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ের মাধ্যমে ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটার সমুদ্র এলাকায় আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়েছে। এখন আমাদের সম্পদের ক্ষেত্র অনেক বিস্তৃত। তবে এখাতে আমাদের খুব বেশি অভিজ্ঞতা নেই। এ জন্য সমুদ্র সম্পদের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন উন্নত দেশকে এ বিষয়ে গবেষণা, বিনিয়োগ ও একসাথে কাজ করার জন্য তিনি আমন্ত্রণ জানান ।
জার্মান বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, জার্মানি বাংলাদেশের জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র। দুই দেশ মৎস্যখাতে একসাথে কাজ করতে পারে। মৎস্যখাতে জার্মান বিনিয়োগকারীদের গবেষণা, অভিজ্ঞতা, মৎস্য মাননিয়ন্ত্রণ ও উন্নয়ন বাংলাদেশের কাজে লাগবে। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য বাংলাদেশে এখন বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ ও সরকারের বিনিয়োগ উপযোগী নীতি রয়েছে। বিদেশি বিনিয়োগের মাধ্যমে শিল্প স্থাপন ও আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে কর অব্যাহতি সুবিধাসহ সরকার সবধরনের সহযোগিতা প্রদান করবে বলে তিনি বিনিয়োগকারীদের আশ্বাস প্রদান করেন।
বাংলাদেশে শীঘ্রই আন্তর্জাতিক সিফুড মেলা আয়োজন করা হবে জানিয়ে সংশ্লিষ্ট জার্মান গবেষক, আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদেরকে এ মেলায় অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশ ভ্রমণের আমন্ত্রণ জানান মন্ত্রী।